সংবাদদাতা, রায়দিঘি : রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘুরছে কুমির। গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির। আর যা দেখে আতঙ্কে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় কুমির এভাবে স্থলভাগে চলে এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বেশ কয়েকদিন আগে রায়দিঘির নদীতে ভাসছিল কুমির। সেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে নদীর পাড়ে ভিড় জমাচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। সেবার জলের মধ্যেই কুমিরটিকে দেখতে পাওয়া গেলেও এবার সরাসরি কুমিরটিকে ডাঙায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির নিদান লঙ্কাগুঁড়ো
উল্লেখ্য, মণি নদীর একপাশে রায়দিঘি ও অপরপ্রান্তে কঙ্কনদিঘি। রায়দিঘিতে কয়েকদিন আগে কুমিরটিকে দেখতে পাওয়া গেলেও মাঝে কুমিরটিকে দেখতে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা মনে করেছিলেন কুমিরটি যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই ফিরে গিয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকদিনের ব্যবধানে নদীর অপরপ্রান্তে কুমির দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় গ্রামের মধ্যে হঠাৎ করে কুমির দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে মৎস্যজীবীরা। রায়দিঘির মণি নদীতে সচরাচর কুমির দেখা যায় না।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের মন তৈরিতে চালু হচ্ছে বন্ধুমহল
নতুন করে কুমিরের উপদ্রব শুরু হওয়ায় গ্রামবাসীরা সকলেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এলাকায় কুমির আসার খবর চাউর হতেই কুমির দেখতে স্থানীয়রা নদীর পাড়ে ভিড় করেন। কুমিরের দর্শন পেতে তাঁরা নদীর পাড়ে মোবাইল হাতে ছবিও তোলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই খবর পাওয়ার পর কুমির নিয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে কুমিরটি যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফিরে যাবে। ষাঁড়াষাঁড়ির কোটালের জেরে নদীতে অত্যাধিক মাত্রায় জল বাড়ায় কুমিরটি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এভাবে লোকালয়ে কুমির ঘোরাফেরা করায় গবাদি পশুদের নদীর ধারে কীভাবে বেঁধে রাখা হবে তা নিয়ে চিন্তায় স্থানীয়রা।