সংবাদদাতা, ঘাটাল : নদীর জলস্তর বাড়ায় ঘাটালের প্লাবিত এলাকাতেও বাড়ছে জল। সেই সঙ্গে জলমগ্ন ঘাটালের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। প্রায় এক সপ্তাহ জলমগ্ন ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড ও ঘাটাল ব্লকের ৬টি গ্রাম। তার উপর নিম্নচাপের জেরে ভারি বৃষ্টিতে অবনতির দিকেই ঘাটালের পরিস্থিতি। রাস্তাঘাট, স্কুল, আড়গোড়ার চাতাল রাজ্যসড়ক জলের তলায়। প্লাবনের জেরে দোকানপাট বন্ধ, আড়গোড়া-সহ বেশ কিছু এলাকায় জলের তলায় দোকানপাট। টানা জলবন্দি অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। বিঘের পর বিঘে কৃষিজমি জলের তলায়। দুঃশ্চিন্তায় কৃষকেরা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল যুব’র সভায় বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার দেবাংশু
পুলিশ প্রশাসনের তরফে প্লাবিত এলাকায় সবরকম সরকারি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৎপর মহকুমা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘাটালে গিয়ে সব ক’টি ব্লক ও পুরসভার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে টাউন হলে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটালে যান জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। জানা গিয়েছে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তিন থানার আধিকারিকদের নিয়ে ঘাটাল থানায় একটি বৈঠক করেন পুলিশ সুপার। ঘাটালের বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের কী ভূমিকা প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের জন্য কী কী কাজ পুলিশের তরফে চলছে তা সাংবাদিকদের জানান জেলা পুলিশ সুপার। ঘাটাল মহকুমার সব ক’টি থানায় কমিউনিটি কিচেন, শুকনো খাবার বিতরণ, মানুষকে উদ্ধার করা ও প্রয়োজনে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ রান্না-করা খাবার থেকে উদ্ধারকাজ, এমনকী যেখানে পৌঁছনো অসম্ভব সেখানে অবধি গিয়ে পুলিশ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসছে। পাশাপাশি প্লাবিত এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে সচেতনতার প্রচার চলছে। পুলিশ সুপার জানান, ঘাটাল মহকুমায় পুলিশের ২১টি কমিউনিটি কিচেন চলছে, যেখানে রান্না-করা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি সেই খাবার দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্লাবিত ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সচেতনামূলক প্রচার চালাচ্ছে ঘাটাল থানা।