সুস্মিতা মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার : হঠকারী আন্দোলন নয়, ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে দাবি মেটাতে হবে। আলোচনার জন্য রাজ্য সরকার সবসময় প্রস্তুত। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের ডায়মন্ড টকিজ হলে শিক্ষক ঐক্য মু্ক্তমঞ্চের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদানের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে পঞ্চায়েত উপপ্রধান
সম্প্রতি নিজেদের দাবি জানাতে বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ জন শিক্ষিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। পরে এই পাঁচ শিক্ষিকা-সহ সংগঠনের সম্পাদক মইদুল ইসলাম-সহ পুরো সংগঠন শাসক দলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। রবিবার তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য বসু, সাংসদ তথা দলের ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-শিয়রে ভোট, তৈরি তৃণমূল
উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, জেলা সভাপধিপতি শামিমা শেখ-সহ জেলা ও শহর, ব্লক নেতৃত্ব। এদিনের সভা থেকে ব্রাত্য বসু বলেন, সরকারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তার মধ্যেও কাজ করছে। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছে। সারা দেশে আজ আমাদের রাজ্য মডেল। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার জন্য আমরা অনেক কাজ করতে পারছি না। হতাশা পরিহার করতে হবে। এগিয়ে চলার নাম জীবন। আর এই এগিয়ে চলার সাহস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-সাগরদিঘিতে ২০০ কোটির জলস্বপ্ন
আজকের যোগদানকারীদের বলেছি, আপনারা ভরসা রাখুন। দাবি নিয়ে বিবেচনা করা হবে। তবে হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ বা ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করে হবে না। এটা সিপিএমের ভাবনা। এই শিক্ষক সংগঠনকেও সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। বিজেপিও বিধানসভার আগে ক্ষমতায় আসার কথা বলেছিল। পরে ৭০ জন হয়ে গেল। সবাই চলে আসবে।
একসময় বিরোধী দলনেতা ছাড়া আর কেউ বিজেপিতে থাকবে না। মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ সংগঠনের ২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা যোগ দিলেন। আগামীতে পাহাড় থেকে সাগরের সব সদস্য তৃণমূলের ছাতার তলায় চলে আসবে।