বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি নিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ্য করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব। আজ, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান জঙ্গিদমনে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশ বেশ সক্রিয়। রাজ্যের মানুষ তাদের অধীনে নিরাপদ। পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে ক্যানিং থেকে কিছুদিন আগেই এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য এই জঙ্গিকে নিয়ে রাজীব কুমার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফের দেওয়া তথ্য থেকেই কাশ্মীরের বাসিন্দার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদমনের বিষয়ে আমাদের রেকর্ড আগেও ভাল ছিল। এখনও ভাল। আগামী দিনেও আমরা সেই রেকর্ড ধরে রাখার চেষ্টা করব। জঙ্গিদমনে আমরা সফল, কারণ আমরা মানুষের সহযোগিতা পাই। আমরা যেমন মানুষের জন্য, তেমন মানুষও আমাদের জন্য। সব তথ্য প্রকাশ করতে পারব না, তবে অনেকে সক্রিয় ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’’
আরও পড়ুন-দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু
কাশ্মীর প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরের জঙ্গিকে দু’দিন ধরে ট্র্যাক করেছি আমরা। তাঁর গতিবিধি নজরে রেখেছি। পরে কাশ্মীরের পুলিশ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা নিঃশব্দে আমাদের কাজ করছি। জঙ্গিদের বিষয়ে তদন্ত সম্পর্কে বাইরে বেশি কথা বলা যাবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা হাত গুটিয়ে বসে আছি।’’ এদিন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিএসএফকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য, যার সঙ্গে তিনটি দেশের সীমান্ত জুড়ে রয়েছে। সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। সেখানে অনেক খামতি রয়েছে। কিছুদিন আগেও অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে এ পার বাংলায় ঢুকেছেন, ঢুকছেনও। কিন্তু আমরা তৎপর যথেষ্ট তৎপর। অনুপ্রবেশকারীদের আমরা গ্রেফতার করছি এবং সঠিক জায়গায় পাঠাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন-ক্লাসে নিষিদ্ধ ছবি দেখছেন শিক্ষক, দেখে ফেলায় আট বছরের ছাত্রকে বেধড়ক মার
বাংলাকে ও ত্রিপুরা সীমান্তকে ‘করিডর’ হিসাবে ব্যবহার করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এমন যে, বাংলাদেশ থেকে কেউ কাশ্মীর বা ভারতের পশ্চিম অংশে কোথাও যেতে চাইলে এই রাজ্যের উপর দিয়ে যেতে হবে। আমাদের উপর ভরসা রাখুন। আমরা আমাদের কাজ করছি।’’ জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের বিষয়ে তিনি জানান পুলিশ আরও বেশি তৎপর হবে ও আগামী দিনে বিভিন্ন থানার পুলিশ সুপাররা ব্যক্তিগত ভাবে পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়া নেতৃত্ব দেবেন।