ত্রিপুরায় বিজেপি পুলিশের হেনস্থার ফলে ঘোষিত ও অনুমতি নেওয়া কর্মসূচির বদলে পথসভা করতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেখান থেকেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার এর প্রতি নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc) নেতা তথা বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, “বাংলায় বিধসনসভা ভোটের আগে বিজেপির বড় বড় নেতারা ডেইলি পাসেঞ্জারি করেছে। কখনও দিল্লি থেকে, কখনও আহমেদাবাদ থেকে নেতারা এসেছেন।”
আরও পড়ুন-‘যারা মারলো তারা বাড়ি চলে গেল, আর যার মার খেলো তাদের গ্রেফতার করা হল’ আগরতলার পথসভায় কুণাল ঘোষ
আর ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay), সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev), স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, যুব নেতৃত্ব, তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি (Bjp)। তীব্র নিন্দা করেন ব্রাত্য বসু। বিরোধীদের মারছে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার। এটা গণতন্ত্র! তিনি বলেন, “খেলা হবে বলার জন্য সায়নী ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় গিয়ে একই শব্দ বলেছেন।” তাহলে সায়নীকে গ্রেফতার কেন? প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু। বিজেপি তিন বছর ত্রিপুরায় কাজ করেছে, তারা সেই কথা বলবে। তৃণমূল তাদের কথা বলবে। এতোম ভয় কীসের যে বিজেপি রড, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নেমেছে?
আরও পড়ুন-Susmita Deb: আগরতলার পথসভায় সুস্মিতা দেব, প্রশ্ন তুললেন বিভিন্ন ইস্যুতে
বিজেপি যত মারতে আসবে, তত তৃণমূল শক্তিশালী হবে বলে বার্তা দেন বাংলার মন্ত্রী। বলেন, “ওরা ভয় পেয়েছে। মানুষের শক্তিকে ভয় পেয়েছে। উল্টে দেওয়ার লড়াইয়ের শপথ নিন।”
ব্রাত্য বসু বলেন, “ত্রিপুরায় হিংসা নয় উন্নয়ন চাই। অন্ধকার নয়, আলো ঝলমলে রাস্তা চাই।” ‘হ্যালো মেয়র’ প্রকল্পে সরাসরি মেয়র কথা বলবেন সাধারণ মানুষ। সমস্যা জানাবেন। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ব্রাত্য।