জেলা সফরে পূর্ব মেদিনীপুর এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুর সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন তিনি মঞ্চ থেকে সাফ জানান, ‘সবাইকে এক হয়ে চলচতে হবে। আমি একা করব আর কেউ করবে এমনটা হবে না। পঞ্চায়েতে দক্ষ কর্মী চাই। ভাল মানুষ চাই। একটা পার্টির একজন টিকিট পাবেন। কেউ না পেলে আবার বিদেপির কোটায় দাঁড়াবেন না। আমরা অন্যভাবে পাশে থাকব। এটা পার্টি দেখবে। উচ্চ-নেতৃত্ব এলাকায় যান।’
আরও পড়ুন-‘দাঙ্গাবাজদের রেহাই নেই, ছেড়ে কথা বলব না আমরা’ বিরোধীদের নিশানা মমতার
দাঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ছেলেটা বন্দুক নিয়ে নৃত্য করছিল সে বাংলার কেউ নয়। মুঙ্গের থেকে এনেছে।কিছু নিন্দুক আছে যারা বলে গোবরে সোনা পায়। ব্যাঙ্কে গোবর রাখুন। টাকা থাকলে নিয়ে নেবে।’
আরও পড়ুন-অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নয়া নামকরণ চিনের, মোক্ষম জবাব দিল ভারতও
বাম জামানার সঙ্গে তুলনা টেনে এদিন তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন ১ তারিখে সরকারি কর্মীরা বেতন পেতেন না, পেনশন পেতেন না। মাসের পর মাস কেটেছে। সবাংলা বাদে সব জায়গায় পেনশন উঠেছে। তাই বিজেপি সিপিএম এর কথায় সরকারি কর্মচারিরা মাথা নত করবে না।১০০ দিনের কাজে বাংলা পাঁচবার প্রথম হয়েছে। আমরা দেখলাম গতকাল একজন বিজেপি নেতা বলেছেন বিহারে ক্ষমতায় ফিরলে দাঙ্গাবাজদের উল্টো করে ঝোলাবো। দাঙ্গা বিজেপি করছে। আমার সব আদিবাসী ভাল। দু’একটা আদিবাসীকে কিনে নিচ্ছে। এরা আগে পিপড়ে খেয়ে থাকত। এখন অনেক ভাল রয়েছে।’
আরও পড়ুন-শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে, রিষড়ায় জানালেন রাজ্যপাল
কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘আমি ৪৮ ঘণ্টা ধরনায় বসলাম। আর তো এক বছর টিমটিম করে জ্বলবি। তারপর বিদায় নিবে ভারত থেকে। গ্যাসের দাম ১১৪৯ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। বাহ নন্দলাল। নতুন ভাবে রাস্তা তৈরি করছি।এখনও পর্যন্ত এক হাজার ছেলে জেলে আছে। যেদিন তৃণমূল তৈরি হয়েছিল তখন অখিল গিরি দাঁড়ায় কন্টাই থেকে ওই বাবুরা নয়। ওরা ছাগলের তৃতীয় ছানা হয়ে ছিল। এরা ক্ষমতা দেখে। বাংলা দখলের ক্ষমতা নেই দিল্লি দখল করবে। মানুষের ঘরে ভালো সন্তানের পাশাপাশি কুলাঙ্গার জন্মায়। এই কুলাঙ্গারদের কাজ দাঙ্গাগিরি করা।দিদি ও দিদি বলে গেল। বলল আপকি বার ২০০ পার। যখন পেল না তখন কী করল? তখন নন্দীগ্রাম লুঠ করল। যে কটা সিট পেয়েছে তা লুঠ করে। আগামীতে বিচার হবে। আমি কোর্টে গেছি। আমি প্রমাণ করতে চাই তিন ঘণ্টা কেন লোডসেডিং হয়েছিল?’
মমতা আরও বলেন, ‘এরা ভাবছে মমতাকে তো হারানো যাচ্ছে না। তাই প্রথমে চরিত্রহনন করতে হবে। যেটা সিপিএম করেছিল। নন্দীগ্রামে নির্বাচনের সময় আমার পা ভেঙে গিয়েছিল। এখনও আমার বাঁ পা ফোলা রয়েছে। সেই দিন আমার মাথা ব্যথা করছিল। য্ন্ত্রণা হচ্ছিল। কলকাতায় যেতে হত। নয়ত হার্ট অ্যাটাক হতে পারত। যাতে প্রচারে না পারি সেই কারণে এই সব করেছিল। কিন্তু ওরা আমায় চেনে না। ওনা বুনো ওল হলে আমিও কচু। আমি হুইল চেয়ারে বেরলাম। সেই সময় পুলিশের ভাইরা-বোনারা সাহায্য করে। সেই সময় খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন-হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে অশান্তি : গ্রেফতার বহিরাগত বিজেপি কর্মী
মমতা পূর্ব মেদিনীপুর জেলে নিয়ে এদিন বলেন, ‘এ জেলা ক্ষুদিরামের জেলা। মাতঙ্গিনী হাজরার জেলা। আজকে লজ্জা লাগে এখানকার কিছু হার্মাদ আমাদের থেকে সব কিছু নিয়েছে। ওদের হাত থেকে আমরা চাকরি গুলো দিয়েছিলাম। ওরা আমাদের হাত থেকে চাকরি নিয়ে বিক্রি করেছে। আমরা জানতাম না। পুরুলিয়ায় একটাও দেয়নি। ওইখানকার চাকরি এখানে বেচে দিয়েছে। আজকে সিবিআই ইডি নিয়ে বড় বড় কথা বিজেপি নেতাদের। সিপিএম এর সময় কিছুই ছিল না। মৎস্যজীবীদের জন্য অনেক করেছে সরকার। আজকে বুথে বুথে ক্যাম্প হচ্ছে দুয়ারে সরকারের।আজকে সিপিএম বড়-বড় কথা বলছে। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে। ওরা বডি পুড়িয়ে দিয়ে বলে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ করেছে।’