রাজাবালায় জনসভায় আজ প্রথম থেকেই ছিল থিকথিকে ভিড়। বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election 2023) এর শেষ সময়ের প্রচার চলছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে নির্বাচন। সেখান থেকেই এদিন মমতা বিরোধীদের আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি নর্থ ইস্টার্ন অঞ্চলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা দেন।
আরও পড়ুন-‘সবার সঙ্গে থাকাটাই বড় ধর্ম’, পাশে থাকার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থাকি। আসতে আসতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সব জায়গাতেই আমরা যাব। আমরা নর্থ ইস্টার্ন ফ্রেন্ডশিপ গড়তে চাই। কলকাতা, শিলিগুড়ি আপনাদের গেটওয়ে। মনে রাখবেন বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল সীমা, সমস্ত দিয়ে বাংলা আপনাদের গেটওয়ে। যখন কোনও অসুবিধায় পড়বেন, মনে রাখবেন আপনাদের পাশেই কোচবিহার রয়েছে। আমার কোচবিহার থেকে এটা ২০ মিনিটের পথ, আর আমার আলিপুরদুয়ার থেকে এটা ৩০-৩৫ মিনিটের পথ। আপনি হেঁটেও চলে যেতে পারেন।’
আরও পড়ুন-‘মেঘালয়ে সরকার পরিবর্তন হবেই’, আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আগামী ভোট নিয়ে সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে হিংসার মাধ্যমে ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমি সব প্রার্থীদের অনুরোধ করছি সজাগ থাকুন যাতে ছাপ্পা ভোট হতে না পারে। আমার সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় একজোট হয়ে ভোট দিন। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আমি মহিলাদের ক্ষমতায়ন চাই। আমি চাই মা-বোনেরা এগিয়ে আসুক।আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি, মেঘালয়ে তৃণমূল জিতলে আমাদের বাংলার যত সোশ্য়াল ওয়ার্ক রয়েছে তা মেঘালয় সরকার কীভাবে বাস্তবায়িত করতে পারে তার জন্য বাংলা থেকেই টিম পাঠিয়ে আমরা সম্পূর্ণ মদত দেব|’
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল
মমতার কথায়, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, তৃণমূলই ভরসা। ভোট কিনতে বিজেপি টাকা ছড়াতে পারে। অভিযোগ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”ওরা টাকা দিলে কিছু কিনে খেয়ে ফেলুন। কিন্তু তৃণমূলকেই ভোট দিন।” তবে, টাকা দিলেও ইডি-সিবিআই দিয়ে তা কেড়ে নেবে বলে কটাক্ষ করেন মমতা। তৃণমূল জিতলে শপথগ্রহণে আসবেন, মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে কথা দেন দলনেত্রী।