প্রতিবেদন: চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ বিহারের (Bihar) বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ এই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার আগে বিজেপির তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে, রাজ্যে দলীয় সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করতে৷ দলীয় সূত্রের দাবি, অভ্যন্তরীণ এই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিহারে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি একেবারেই ভাল নয়৷
আরও পড়ুন-পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বিনীত গােয়েল
এই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব৷ রাতারাতি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ এই প্রসঙ্গেই সামনে এসেছে বিজেপির নতুন মিথ্যাচার। যারা কৃষকদের আবেগ নিয়ে শুধুই ছেলেখেলা করছে সেই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের নাম করে আরও একবার বিহারের কৃষকদের সামনে এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে৷ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের ভাগলপুরে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রের দাবি৷ এত কিছুর পরেও বিহারে বিজেপি একার জোরে কতদূর যাবে তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এতে আরও চাপে পড়েছে বিজেপি৷ উল্লেখ্য, বাস্তবে কৃষকদের এমএসপি, ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব সহ অন্যান্য প্রধান সমস্যার কোনও সমাধান না করলেও বিহারের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাজ্যের কিষাণদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য প্রতিশ্রুতির বন্যা আসলে নতুন জুমলা ছাড়া অন্য কিছু নয়, বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের তরফে৷ প্রধানমন্ত্রী বকেয়া প্রতিশ্রুতিগুলির কোনওটাই আদৌ পূরণ করবেন না, এমনই আশঙ্কা কৃষক সংগঠনগুলির৷