তাঁতশিল্প বাংলার অর্থনীতি বদলে দিয়েছে: ব্রাত্য বসু

Must read

প্রতিবেদন : সামনেই পুজো। তাই এখনই সেরে ফেলতে হবে কেনাকাটা। তাঁতে বোনা রুমাল থেকে রংবেরঙের শাড়ির বিপুল সম্ভার, চোখ ধাঁধিয়ে দেবে বাংলার রমণীদের। ক্রেতাদের মন জয় করতে বিপুল তাঁতের শাড়ির পশার সাজিয়ে বসেছেন শিল্পীরা। সল্টলেক করুণাময়ীর বইমেলা প্রাঙ্গণে শাড়ির সম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে বাংলার তাঁতের হাট। এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ অন্যরা। এদিন অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিবর্তন হয়েছে বাংলার তাঁত শিল্পের চিত্র। অবিভক্ত বাংলার তাঁতের যে গৌরব, তা পুনরুদ্ধারে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁতিরা ছিলেন বাংলার সবথেকে বেশি সম্পদশালী অংশ। তাঁতশিল্প এখানের অর্থনীতি বদলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন- শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাঁতিরা এসে এখানে তাঁদের হাতে-বোনা শাড়ি বিক্রি করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাট এবং সুতোর যে দাম বেঁধে দিয়েছেন তাতে যেমন ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে শাড়ি কিনতে পারছেন তেমনই বিক্রেতারাও নিজেদের লাভ দেখতে পাচ্ছেন। তন্তুবায় সমবায় সমিতি, খাদি, হস্ততাঁত মহল্লা, তন্তুজ-সহ একাধিক সংস্থা মিলিয়ে একাধিক স্টল জমিয়ে দিয়েছে তাঁতের শাড়ির মেলা। বাংলার তাঁতশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগ। শহর ও গ্রামের শিল্পের মেলবন্ধন ঘটে এই মেলায়৷ গ্রাম ও মফসসলের তাঁতশিল্পীরা বড় মঞ্চে যেমন তাঁদের কাজ প্রদর্শনের সুযোগ পান৷ তেমনই, শহরের মানুষেরাও হাতের নাগালে পেয়ে যান বাংলার তাঁতের শাড়ির বিপুল বৈচিত্রময় সম্ভার৷ ফলে বিপণনের পথটিও খুলে যায়। লাভের মুখ দেখে বাংলার তাঁত শিল্প৷

Latest article