প্রতিবেদন : রাজভবনে আটকে রয়েছে আটটি বিল। আটকে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ফাইল। ফলে থমকে রয়েছে উন্নয়ন। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি ও সংবিধান-বিরোধী কাজের অভিযোগে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। শুক্রবার রিট পিটিশন দাখিল করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই আর্জি গ্রহণ করেছে। এদিন শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে আইনজীবী আস্থা শর্মা ও আইনজীবী সঞ্জয় বসু সুপ্রিম কোর্টে জানান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের ৮টি বিল আটকে রেখেছেন। ওই বিলগুলি আটকে রেখে রাজ্যপাল সংবিধানের ২০০ নম্বর বিধি ভঙ্গ করছেন, যা গণতন্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও জনকল্যাণের পরিপন্থী। কারণ এই ধরনের বিলের মাধ্যমেই জনকল্যাণমূলক কাজ করা হয়। বিলগুলি আটকে থাকার ফলে জনকল্যাণমূলক কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। পিটিশনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অনেক বিলই মুলতুবি রয়েছে ২০২২ সাল থেকে। কোনও কারণ বা পদক্ষেপ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে বিলগুলি। রাজ্যপালকে বিবেচনা করার আর্জি জানানো সত্ত্বেও তিনি অনুমোদন করেননি। আগে মৌখিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল বিষয়টি। এবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি তালিকাভুক্তির জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তা তালিকার প্রথম দিকেই রয়েছে।
আরও পড়ুন-ন্যক্কারজনক ঘটনা যোগীরাজ্যে, বোতলে প্রস্রাব ভরে খাওয়ানো হল কিশোরকে