টাইপ-১ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য মডেল, উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী

শিশু ও কিশোরদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস (Diabetes) চিকিৎসায় অত্যাধুনিক মানের স্বাস্থ্য মডেলের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল রাজ্য।

Must read

পশ্চিমবঙ্গের মুকুটে নয়া পালক। শিশু ও কিশোরদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস (Diabetes) চিকিৎসায় অত্যাধুনিক মানের স্বাস্থ্য মডেলের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল রাজ্য। ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবেটিস’ (ISPAD) ২০২৫ সালের জন্য বেছে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এই সাফল্যের কথা জানিয়ে লেখেন, “গর্বের সাথে জানাচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গ পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিস কেয়ারের উচ্চমানের স্বাস্থ্য মডেলের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবেটিস থেকে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মডেলকে সম্মানিত করা হল। এটি GoWB-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের একটি যুগান্তকারী জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ, যা এখন বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য আমি আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ, ডাক্তার এবং দলের অন্যান্যদের অভিনন্দন জানাই! ISPAD 2025 কেবল একটি পুরস্কার নয় – এটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার উপর বাংলা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদচিহ্ন। জয় বাংলা!”

আরও পড়ুন-”বিহার বাহানা মাত্র, বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে”,কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু, কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতর একটি জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। বিনামূল্যে ইনসুলিন, ব্লাড সুগার মাপার যন্ত্র, টেস্ট স্ট্রিপ ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী দেওয়া হত। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় ‘ডেডিকেটেড’ T1DM ক্লিনিক তৈরী করা হয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট দিনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে পরামর্শও প্রদান করা হয়।
এছাড়া রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়। রোগের জটিলতা প্রতিরোধ করে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। পশ্চিমবঙ্গের এই মডেল বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিমণ্ডলে এক নজির গড়েছে। গোটা ভারতের জন্য বিশ্বমানের এই পুরস্কার এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠল। ইউনিসেফও মনে করছে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বাংলা এখন পথপ্রদর্শক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে এদিন অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমি আমাদের স্বাস্থ্য দফতর, চিকিৎসক এবং সমস্ত টিম সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা আজ আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত।”

Latest article