প্রতিবেদন : সাফল্যের পথ দেখিয়েছে কলকাতা। সময়ের হাত ধরে সেই সুবিধে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের নানাপ্রান্তে। চলতি বছরেই রাজ্যের অন্তত ১০০ সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষ যাতে অনলাইন আউটডোর টিকিটের সুযোগ পান, তারজন্য জরুরি ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। মাল্টিপ্রোটোকল লেভেল সুইচিং ব্যবস্থার দৌলতে এই পরিষেবা ছড়িয়ে যাবে গোটা রাজ্যে। আউটডোর মানেই দীর্ঘ লাইন, অসুস্থ-উদ্বিগ্ন মানুষের হুড়োহুড়ি, রোগীর আত্মীয় পরিজনদের ছোটাছুটি— এই ছবিটা এবারে আমূল বদলে দিতে চাইছে রাজ্য। উদ্যোগের শুরু অবশ্য বছর ছয়েক আগেই। ২০১৬তেই রাজ্যের কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে শুরু হয় অনলাইনে আউটডোর টিকিট কাটার ব্যবস্থা। লক্ষ্য, রোগীরা যাতে নিজেদের সুবিধেমতো দিনে দেখাতে পারেন পছন্দের ডাক্তারকে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট ৪১টি সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ এই পরিষেবার আওতায় এসেছে। স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের মোবাইল নম্বর দিলেই বিনা খরচে মিলে যাবে অনলাইন টিকিট। এবারে আরও ৬০টি হাসপাতালে এই পরিষেবা শুরু হওয়ার পালা। এই ব্যবস্থা প্রথম চালু হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে এসএসকেএম এবং নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এই অনলাইন আউটডোর টিকিট ব্যবস্থা বিশেষ উপকারে আসে রোগীদের। মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে চোখের অত্যাধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি, পিজি লাগোয়া বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালও এখন এই পরিষেবার আওতায়। নতুন কয়েকটি ছাড়া রাজ্যের অনেকগুলি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে ভিড় এড়িয়ে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর এই সুযোগ। এরফলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও আরও বেশি মনযোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন রোগীদের সমস্যার প্রতি। এবারে লক্ষ্য রাজ্যের সমস্ত স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও এই পরিষেবা চালু করা। বাদ যাবে না মহকুমা হাসপাতালও। এরপরেই উদ্যোগ নেওয়া হবে ব্লক হাসপাতালগুলিতে যাতে এই সুযোগ মেলে।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় পড়ল সুপ্রকাশের গাড়ি