সত্য ঘটনা অবলম্বনে রাজ্য পুলিশের ক্রাইম থ্রিলার

রাজ্য পুলিশের এই ধরণের প্রচার নিঃসন্দেহে সতর্কতামূলক আর এই নিয়ে নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে তাদের এই অভিনব উদ্যোগ।

Must read

রাজ্য পুলিশ প্রতিদিন নানা ধরনের অপরাধের কিনারা করছে আবার অনেক ক্ষেত্রে কিনারা করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (West Bengal Police) এবার সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ক্রাইম থ্রিলার বানিয়ে ফেলেছে। এক্স হ্যান্ডেলে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ লিখেছে, ‘’মানুষ বড় সস্তা, কাটো আর ছড়িয়ে দাও।’ ক্রাইম সিরিজের ক্যাচলাইন। এরপর লেখা হয়েছে ৬৫ বছর আগের এক দুরন্ত ঘটনা। কলকাতার এক পার্কে ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল এক মহিলার দেহ। যুগান্তর কাগজে মোড়া ছিল সেই দেহের টুকরো। কে সেই মহিলা? কে তাঁকে খুন করেছিল? কেন?
প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য পুলিশ। ভারতের সবচেয়ে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের রহস্যগুলির মধ্যে একটি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। দেখুন
ক্রাইম ক্রনিকলসের ৩য় পর্ব: “মানুষ সস্তা…” শুধুমাত্র ফ্রেন্ডস অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের ইউটিউব চ্যানেলে।”

আরও পড়ুন-‘দেশের সুরক্ষায় কমপক্ষে ১০টি স্যাটেলাইট কাজ করছে’ জানালেন ইসরো চেয়ারম্যান

ভিডিয়োটা শুরু হচ্ছে, ৩০শে জানুয়ারি ১৯৫৪ এর প্রেক্ষাপটে। স্থান কালীঘাট রিফিউজি মার্কেট, সময়, সকাল ৫টা ৩০। কালীঘাট বাস্তুহারা মার্কেটের সাফাইকর্মী বিশু কাগজে মোড়া মানুষের আঙুল লক্ষ্য করলেন। এরপর বিশু দেখলেন দুটো হাতের খণ্ড খণ্ড টুকরো। এরপরেই দুপুর ১২টা নাগাদ কালীঘাট পার্কের দারোয়ান দেখতে পান একের পর এক দেহের টুকরো। চারটে মোড়কের শেষটিতে ভ্রুণ পাওয়া যায় যেখান থেকে বোঝা যায় মহিলা সন্তান সম্ভবা ছিলেন। ২০ দিন হয়ে গেলেও মহিলাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই একদিন তদন্তকারী আধিকারিক বাড়ি যাওয়ার পথে কাশির ওষুধ কিনতে রসা রোডের এক ওষুধের দোকানে যান। সেখানে কাশির ওষুধ না পেলেও ঘটনাসূত্রে জানতে পারেন মালিক মাস খানেক ধরে দোকানে আসেননি। খটকা লাগতেই ভাবনা শুরু হয়। টার্ফ রোডে মালিকের বাড়ি। একপ্রকার সন্দেহবশত ওই পুলিশ আধিকারিক মালিকের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন মালিকের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা ও শিশু মঙ্গল হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করতে নিয়ে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন মালিক। পুলিশ সোর্স মারফত জানতে পারে মালিক হরিশ মুখার্জি রোডের একটা বাড়িতে রয়েছেন। একদিন মালিক বীরেন দত্ত সেখান থেকে বের হতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোনওরকম বক্তব্য না শুনে লালবাজারে নিয়ে যেতেই ভেঙে পড়েন তিনি। কেন বীরেন খুন করলেন তার স্ত্রীকে?

আরও পড়ুন-জুনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু

রাজ্য পুলিশের এই ধরণের প্রচার নিঃসন্দেহে সতর্কতামূলক আর এই নিয়ে নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে তাদের এই অভিনব উদ্যোগ।

 

Latest article