জর্জটাউন, গায়েনা: নিকোলাস পুরান যখন মাঠের সব জায়গায় বল পাঠাচ্ছেন, মনে হচ্ছিল সিরিজ ২-০-র দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু এই খেলাটাই এমন যে, প্রতি মুহূর্তে রং বদলায়! যেমন রবিবাসরীয় ক্রিকেট পুরান আউট হওয়ার পর হার্দিকদের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। হার্দিক তিন উইকেট নিয়েছেন। শেষদিকে চাহাল (২/১৯) ম্যাজিক আরও মোচড় আনল। কিন্তু শেষমেশ চাপ নিয়েও আকিল হুসেন (১৬ নট আউট) আর আলজারি জোসেফ (১০ নট আউট) ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন। ৮ উইকেটে ১৫৫ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ম্যাচ জিতল ২ উইকেটে। সিরিজে তারা ২-০-তে এগিয়ে গেল। এই প্রথম টি-২০ ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ানরা ভারতকে (India-West Indies) পরপর দুই ম্যাচে হারাল।
আরও পড়ুন-হকিতে বড় জয়
প্রথম ওভারে অর্শদীপ সিং যখন ব্রেন্ডন কিং (০) আর জনসন চার্লসকে (২) তুলে নিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু চাপে পড়েছিল। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের তখন দিশাহারা অবস্থা। কিন্তু এই চাপ বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমে কাইল মেয়ার্স (১৫) ও তারপর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল (২১) চেষ্টা করেছেন একটা দিক আগলে রাখতে। ততক্ষণে ভারতীয় বোলিংকে কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলে দিয়েছেন নিকোলাস পুরান।
শেষদিকে হেটমেয়ার (২২) এসে ঠিক সেই কাজটাই করলেন, এতক্ষণ যেটা পাওয়েলরা করছিলেন। এরমধ্যে মুকেশের বলে স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন পুরান (৬৭)। তবে তিনি আউট হলেও হেটমেয়ার দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে চাহাল তাঁকে ফেরানোর পর দলের সামনে জয়ের সুযোগ এসেছিল।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাটিংকে দুষেছিলেন। এই ম্যাচেও ব্যাটিং দুর্ভোগ কিন্তু অব্যাহত থাকল। টসে জিতে ব্যাট নিয়ে ১৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ল শুভমন গিলের। তারপর থেকে এমনই চলল। শুরুতে ঈশান কিসান, মাঝে তিলক ভার্মা ও শেষদিকে হার্দিক ছাড়া কেউ আকিল, আলজারি ও শেফার্ডকে সামলাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫২/৭-এই আটকে গিয়েছেন হার্দিকরা।
বিশ্বের এই প্রান্তেই ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপ হবে। কিন্তু তার আগে এটা যদি স্টেজ রিহার্সাল হয়, তাহলে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কারণ থাকছে ভারতের (India-West Indies)।
হার্দিক টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বড় টার্গেট দেবেন বলে। কিন্তু সেটা হয়নি। সেই তিলক ভার্মাই (৫১) যা খেলার খেলে গেলেন। নাহলে ঈশান (২৭) রান করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে শুভমনের ফর্ম নিয়ে। গোটা সফরে একটা ৮৫ ছাড়া রান নেই। এখানে জোসেফকে উইকেট দিয়ে গেলেন ৭ রানে।
তিলকের এটা প্রথম আন্তর্জাতিক হাফ সেঞ্চুরি। একবার ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেও বেশ ভাল ব্যাট করেছেন। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার আকিল হুসেনের বলে একটা লুকোনো ড্রিফট আছে। তাতেই থমকে যাওয়া তিলকের শট বাউন্ডারি পার করতে পারেনি। ম্যাকয় নিচু ক্যাচ বেশ ভাল ধরেছেন। এখানে সঞ্জু স্যামসনের (৭) কথাও বলতে হবে। সবে ৭টি বল খেলেছিলেন। আকিলকে স্টেপ আউট করার দরকার ছিল না। কিন্তু করতে গিয়ে স্টাম্পড হলেন। এর আগে সূর্য (১) রান আউট হয়েছেন। থ্রি সিক্সটি ব্যাটার আইপিএলের ফর্ম কোথায় রেখে এসেছেন?