ব্যুরো রিপোর্ট : ব্যাঙ্ক, রেল, বিমানবন্দর ইত্যাদির মতো কৃষিক্ষেত্রকেও মিত্র আদানি-আম্বানির হাতে তুলে দিতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষকবিরোধী আইন চালু করা মাত্র প্রথম যিনি তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কৃষকদের অনমনীয় আন্দোলন এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার জেরে মোদিকে বাধ্যত বাতিল করতে হল কৃষি আইন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সারা রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে লাগাতার হয়েছে মিটিং-মিছিল। তাই নয়া কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারে রাজ্যের কৃষকরা যেমন খুশি, খুশি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও। জেলায় জেলায় বেরিয়েছে বিজয়মিছিল। কৃষকদের মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে। কৃষকদের এই জয়কে অভিনন্দন জানিয়ে মেদিনীপুর, খড়্গপুর, বাঁকুড়া সর্বত্রই বিজয়মিছিল বেরিয়েছে।
আরও পড়ুন : কাঁথি পুরভোট ২১-০ করতে চায় তৃণমূল
শনিবার বসিরহাটে মিনাখাঁর বাবুরহাট, কুমারজোল, বামুনপুকুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সবজি ও ধানখেতে কর্মরত কৃষকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিলেন মিনাখাঁ এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আয়ুব হোসেন গাজি।
সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর জলপাইগুড়ি জেলা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয়মিছিল করে জলপাইগুড়ি শহরে। কৃষি আইন বাতিলে খুশিতে মেতে উঠল রায়গঞ্জের কৃষকদের একাংশ। শনিবার রায়গঞ্জ ব্লক ১ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উদয়পুর কিষান মান্ডিতে আসা কৃষকদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। নেতৃত্ব দেন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি মানস ঘোষ। বলেন, ‘‘কৃষকদের আন্দোলনের জেরে পিছু হটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই এই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এদিন আমরা কৃষকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে দিনটি পালন করলাম।’’