আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন(Pancayet Election) নিয়ে শনিবার কাঁথির সভামঞ্চ থেকে স্পষ্টবার্তা দিলেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। এদিনের জনসভা থেকে তিনি জানিয়ে দিলেন, “মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবেন তিনিই টিকিট পাবেন।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, “যাঁরা ভাবছেন মানুষের কথা না শুনে পঞ্চায়েত চালাবেন তাঁদের আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, আপনাদের টিকিট দেওয়া তো দূরের কথা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন জেলে ঢোকাবে।”
এদিনের জনসভায় উপস্থিত হয়ে পঞ্চায়েত প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, মানুষ যে তৃণমূল দেখতে চান সেই তৃণমূল তৈরি হবে। কোনও দাদা দিদি ধরে চাটুকারিতা করে টিকিট পাওয়া যাবে না। মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবেন তিনিই টিকিট পাবেন। এরপরি তিনি বলেন, “যাঁরা ভাবছেন মানুষের কথা না শুনে পঞ্চায়েত চালাবেন তাঁদের আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, আপনাদের টিকিট দেওয়া তো দূরের কথা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন জেলে ঢোকাবে। এই জেলায় দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ১৮০ কোটি টাকার টেন্ডার এক জন পেয়েছে। কোনও কাজ হয়নি। আগামিদিনে যারা যোগ্য তারাই দলের প্রথম আসনে বসবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। যারা পঞ্চায়েতে নয়ছয় করেছে, আমার কাছে খবর আছে প্রধান হওয়ার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা, ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এগুলি যদি অক্টোপাসের শুঁড় হয়, অক্টোপাসের মাথাটা ২০০ মিটার দূরে বসে আছে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। সকলের নামের তালিকা আমার কাছে আছে। তোমরা তৈরি হও।”
আরও পড়ুন- ক্ষমতা থাকলে ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনে লড়ে জিতে দেখান, শিশির-দিব্যেন্দুকে নিশানা অভিষেকের
এরপর বিজেপি ও শুভেন্দুকে বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ভোট হবে। যারা ভোটে লড়তে চায় না তারা নানা টালবাহানা করছে। ২০১১ সালে যা আসন পেয়েছিল তার থেকে ২০১৬ এবং ২০২১ সালে বেশি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অধিকারী পরিবার ছিল না বলে আমরা বেশি আসন পেয়েছি। খোঁচা অভিষেকের।কোন রাস্তায় কবে কত টাকা চুরি হয়েছে সব ওঁর মুখস্থ। কারণ উনি এই সবের মাথা।”
শুধু তাই নয়, এদিনের সভাস্থলে যাওয়ার আগে কাঁথির মারিশদা গ্রামে নেমেছিলেন অভিষেক। খোঁজ নিয়েছিলেন সেখানকার মানুষের সুবিধা অসুবিধার। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন গ্রামে নেই নিকাশি ব্যবস্থা। আবেদন জানানো সত্ত্বেও মেলেনি ঘর। অত্যন্ত দুর্দশার সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। চোখের সামনে সবকিছু দেখার পর তাঁদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি। ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইস্তফার নির্দেশ দেন তিনি।