সবক শেখালেন গাভাই

Must read

প্রতিবেদন : বিচারপতিরা চাকরি ছেড়ে বা অবসরের পরে রাজনীতিতে যোগ দিলে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাতে মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক যে, সরকার পক্ষের সুনজরে থাকতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দেন বিচারপতিরা। নাম না করে দেশের প্রথম সারির বিচারপতিদের চাকরি ছেড়েই রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (B R Gavai)। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগ ও বিচারপতি থেকে রাতারাতি লোকসভার সাংসদ হয়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছোয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরে ভারতের বিচার ব্যবস্থায় এই রেওয়াজ বেড়েই চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, বিচারপতির আসন থেকে অবসরের আগে দেওয়া তাঁদের সব রায় নিয়েও।
গণতান্ত্রিক দেশে বিচার ব্যবস্থার উপর এই ঘটনার প্রভাব এতটাই গভীর যে এবার এই বিষয়ে বিদেশে গিয়েও সরব দেশের প্রধান বিচারপতি। ইংল্যান্ডে সুপ্রিম কোর্টের একটি গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান বিচারপতি তুলে ধরেন, যদি কোনও বিচারক অবসর গ্রহণের অব্যবহিত পরে কোনও সরকারি পদে যোগ দেন তবে তাঁদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷

আরও পড়ুন- চক্রান্ত! শহিদ তর্পণের দিনেই সংসদের অধিবেশন

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আইনের পদ থেকে তাঁদের অবসর গ্রহণও প্রবল নীতির প্রশ্ন৷ সেই সঙ্গে জনগণের সেই বিষয়ে যাচাই করে নেওয়াও প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি আরও যোগ করেন, কোনও বিচারক যদি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেন তবে তা সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলে দেয়। যেহেতু সেই বিচারে পছন্দের তারতম্য গুরুত্ব পায়, অথবা সরকারের থেকে সুবিধা পাওয়ার প্রচেষ্টা হিসাবেও গণ্য হতে পারে। অবসরের পরে এই ধরনের কাজের সময় ও পদ বিচার ব্যবস্থার সততার উপর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন তুলে দেয়। কারণ সেক্ষেত্রে এরকম ধারণা তৈরি হতে পারে যে বিচার প্রক্রিয়ায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি ভবিষ্যতে সরকারি সুবিধা পাওয়ার বা রাজনৈতিক যোগ রাখার জন্য প্রভাবিত হয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Latest article