প্রতিবেদন : ফুরফুরা শরিফে ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে সম্প্রীতি- শান্তি এবং ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির মাটি। তবে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক শ্রেণির মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক কমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমি কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি চ্যানেলে দেখেছি, আমার এখানে আসা নিয়ে বলা হচ্ছে এটা কি ভোটের সমীকরণ? কিন্তু আমি যখন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যাই, পুষ্করে যাই, খ্রিস্টানদের নাইট সাপারে যাই তখন তো এই প্রশ্ন ওঠে না! আমি সব জায়গায় যাই। আমি খ্রিস্টানদের ফেস্টিভ্যালেও যাই। ইদেও যাই। নিজে ইফতারও করি। যেমন দোল-হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছি, তেমনই রমজান মাসেও মোবারক জানিয়েছি। আমি সকলের জন্য দোয়া প্রার্থনা করি, সকলে শান্তিতে থাকুন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আমি ফুরফুরা শরিফে খুব আসতাম। আকবর আলি খন্দেকার আমাকে নিয়ে আসতেন। আমি ১৫-১৬ বার এসেছি। এদিন ফুরফুরা শরিফে হাসপাতাল-পলিটেকনিক কলেজ এবং বাস স্ট্যান্ড তৈরি করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতে ওবিসি মামলার জন্য অনেক নিয়োগ আটকে রয়েছে। জট কেটে গেলেই নিয়োগ শুরু হবে। নতুন হাসপাতাল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, হাসপাতাল তৈরি করলেই তো হল না, উপযুক্ত ডাক্তার-নার্স প্রয়োজন। সেগুলো পেয়ে গেলেই করে দেব। সোমবার বিকেলে ফুরফুরায় গিয়ে পিরজাদাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের দাবি-দাওয়া শোনেন। শেষে যোগ দেন ইফতারেও।
আরও পড়ুন: বাজেট বরাদ্দ প্রায় ৮০০ কোটি, দেশে উদাহরণ এখন বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী