প্রতিবেদন : টেটে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu- Gautam Paul) স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, আন্দোলন হতেই পারে কিন্তু তা যুক্তিগ্রাহ্য হওয়া উচিত। কখনও এ-দাবি হতে পারে না যে, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের সকলকেই চাকরি দিতে হবে। পড়ুয়াদের জয়েন্ট কিংবা নেট-স্লেটে তা হয় নাকি? চাকরির দাবিদাররা আদালতে যেতে পারেন তো। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী যখন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছেন, তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি (Bratya Basu- Gautam Paul) সংবাদমাধ্যমে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন— স্বচ্ছতা এবং নিয়ম মেনে নিয়োগ হবে। আদালত অনুমতি দিলে অপ্টিক্যাল মার্ক রিকগনিশন বা ওএমআর শিট প্রকাশ করবে পর্ষদ। প্রসঙ্গত, এই মেধাতালিকা প্রকাশের দাবি রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল পর্ষদ সভাপতি বলেন, আন্দোলন তুলে নিয়ে মহিলা কমিশন জানিয়েছে, দিল্লির এক হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপারকে নোটিশ পাঠিয়ে এফআইআর-এর প্রতিলিপি এবং ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাবিস্তারিত জানতে চেয়েছে মহিলা কমিশন। একই সঙ্গে মালিওয়াল বলেছেন, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে সর্বস্তরে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নন্দগ্রাম থানার পুলিশ খবর পায় যে আশ্রম রোডের কাছে একজন মহিলা পড়ে আছেন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি দিল্লির বাসিন্দা। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নন্দগ্রামে তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর ভাই তাঁকে নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর পূর্বপরিচিত ৫ জন তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে এ-পর্যন্ত চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের একজনের নাম শাহরুখ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ও অভিযুক্তদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই আক্রোশে এই গণধর্ষণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।