চলতি বছরে বন্দে মাতরম (Vande Mataram) স্তোত্রর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা নিয়ে যদুনাথ ভট্টাচার্যের সুরারোপিত এই গানের ১৫০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। সোমবার সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বিবাদ হয় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের।
আরও পড়ুন-৩০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় সস্ত্রীক বিক্রম ভাট গ্রেফতার
বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপির আরও এক চেহারা ফুটে উঠল সংসদে সোমবার। খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়কে সংসদে ‘বঙ্কিমদা’ বলে অপমান করতে ছাড়লেন না। মোদির এই সম্বোধনে সংসদে সরব তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদের জেরে নিজের সম্বোধন বদলাতে বাধ্য হলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপরেও নিজের ঔদ্ধত্য বজায় রেখে ভুলের জন্য একবারও ক্ষমা চাইলেন না।
আরও পড়ুন-অসমে বসবে জুবিনের ফাইবার মূর্তি! তৈরী হচ্ছে বাংলার কুমোরটুলিতে
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বারবার বাংলা ভাষা, বাংলার সংস্কৃতিকে খুব আপন দেখানোর চেষ্টা করে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কখনও টেলিপ্রম্পটারে বাংলা বলে, কখনও মাকালী, মা দুর্গার নাম নিয়ে নিজেকে বাঙালিপ্রেমী দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেই চেষ্টায় কীভাবে বাঙালির অপমান তিনি করেন তা বোঝার ক্ষমতা থাকে না বাংলা-বিরোধী নরেন্দ্র মোদির। এবার সেই বাঙালি-অপমানের ছবি তিনি তুলে ধরলেন দেশের সংসদে। রাষ্ট্রগীতের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়াকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে চরম অপমান করলেন তিনি। এবং একবার নয়। পরপর চারবার সেই সম্বোধন করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-‘বন্দেমাতরম’ আলোচনার আগেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সংসদে প্রতিবাদ, সরব তৃণমূল
প্রথমবারের সম্বোধনের পরে অনেকেই ভেবেছিলেন এটা শোনার ভুল। বা হয়তো ভুল করে নরেন্দ্র মোদি এমনটা বলে ফেলেছেন। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে দ্বিতীয়বার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধনে সরব হন বাংলার সাংসদরা। মোদির তৃতীয় সম্বোধনের পরে সাংসদ সৌগত রায় স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ জানান, তিনি এভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়কে ‘দা’ সম্বোধন করতে পারেন না। অন্তত ‘বঙ্কিমবাবু’ বলা উচিত।
নিজের ভুল বুঝতে পেরেও ঔদ্ধত্য এতটুকু কমেনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর। সৌগত রায়ের প্রতিবাদে সংসদের ভিতরে বক্তব্যের মাঝে থেমে হেসে ওঠেন তিনি। জানান, সাংসদের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল তিনি। নিজের সম্বোধন পরিবর্তন করে ‘বঙ্কিমবাবু’ বলেন। একবারও নিজের ভুলের জন্য ক্ষমাও চাইলেন না। সাংসদের অনুভূতিকে সম্মান জানাতে সম্মোধনের পরিবর্তন তা স্পষ্ট করে দিলেন। আদতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিও যে বিজেপির কোনও সম্মান নেই, তাও সংসদে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী

