‘গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে, রিপোর্ট প্রকাশ করুন’ ফের একবার কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে আজ জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)

Must read

আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে আজ জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তুফানগঞ্জের নাগুর হাট হাই স্কুলের মাঠে তাঁর সভা হচ্ছে। এদিন মঞ্চ থেকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেশখালি সিঙ্গুরও নয়, নন্দীগ্রামও নয়। কিছু ঘটনা স্থানীয় ভাবে ঘটেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে। আরাবুল-শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন-ইএমআই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আরবিআইয়ের

ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে এসে বাংলার দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার বিষয় নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে এসে দুর্নীতি নিয়ে বড় কথা বলেন মোদী। বাংলায় আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছি। গুজরাতে কী হয়েছে? রিপোর্ট প্রকাশ করুক।’ নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীবাবু কার হয়ে মিটিং করেছেন? তিনি নাকি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তিনি অন্যকে দুর্নীতিবাজ বলেন, আমরা তাঁকে জলপাইগুড়ি-কোচবিহার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম, সে পাচার করত, খুুন করত, বোমা করত, আমার কাছে সব লেখা আছে, তার বিরুদ্ধে কত কেস আছে? এত কেস থাকলে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারে? আমাদের কাছে আপদ, সে নাকি বিজেপির সম্পদ।শীতলকুচিতে নির্বাচন চলাকালীন চার জন সংখ্যালঘুকে মারা হয়েছিল, একজন রাজবংশী ভাইকে মারা হয়েছে। যিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি বীরভূমে পালিয়ে গিয়েছেন, তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স কেস রয়েছে।”

আরও পড়ুন-কাল ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন মহামেডান

এদিন বিলকিস প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ”তোমাদের তো বিলকিসকে পুড়িয়ে মেরেছো? কবার গিয়েছো সেখানে? অসমে NRC-ক্যা নিয়ে কত লোক মারা গিয়েছে? সন্দেশখালিতে কেউ তো মারা যায়নি। কোথাও কোথাও কেউ দুষ্টুমি করে থাকতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও কোনও অভিযোগ নেই, তাও একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখোছো। আমরা ৭০ কোটি টাকা খরচ করেছি একশো দিনের কাজের জন্য। আমি নিজে দিল্লি গিয়ে দেখা করলাম, টিম পাঠালে, তারা গিয়ে তো রিপোর্টও দিয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ করো।”

আরও পড়ুন-কাল ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন মহামেডান

কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, ”৬ লক্ষ বাড়ি এই আবাসের ১১ লক্ষ বাড়ির লিস্টে ছিল? কেন করতে দেওনি তিন বছর? দুর্নীতি হয়েছে বলছো? আমি বলি শ্বেতপত্র প্রকাশ করো। কোথাও কোথাও কেউ দুষ্টুমি করে থাকতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও কোনও অভিযোগ নেই, তাও একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখোছো। আমরা ৭০ কোটি টাকা খরচ করেছি একশো দিনের কাজের জন্য। আমি নিজে দিল্লি গিয়ে দেখা করলাম, টিম পাঠালে, তারা গিয়ে তো রিপোর্টও দিয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ করো। বাংলা সব রাজ্য থেকে এগিয়ে, তোমাদের প্রার্থীদের গ্রেফতার করে দেখাও। আমরা তো আমাদের কর্মী, আরাবুল, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি, তাহলে তোমরা গুন্ডাকে কেন গ্রেফতার করতে পারো না? যে লোকটা পাঁচ বছর ধরে নির্বাচনে দাঁড়াল, তাঁকে কাজ করতে দিলে না, এখন আবার আরেকজনকে নিয়ে এলে! বিজেপির গ্যারান্টি জিরো। নির্বাচনের সময়ে কথায় কথায় অনুমতি নিতে হয়। বিজেপি যা বলে, তাই করতে হবে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তোমাকে তো টাকাও দিতে হচ্ছে না। নীরব মোদী, লোলিত মোদী কি দুর্নীতিবাজ নয়? স্কুলে চাকরি তারা অনেক দিয়েছে, লোকে ভয়ে বলে না। বিজেপি করলে সাত খুন মাফ। দেখলেন না একজন বিচারপতি চেয়ারে বসে কী করলেন, তারপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে গালাগালি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি ওর বিরুদ্ধে এক জন ছাত্রনেতাকে দাঁড় করিয়েছি। দেবাংশু ছুটিয়ে বেড়াক। আপনি বিচার দিয়ে অনেক ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়েছেন। এবার আপনার বিচার করুক জনগণ। এবার জনগণ আপনার চাকরি খাবে, বিচার দিয়ে। এটা জনগণের আদালত।”

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

কোভিডের সময়ের কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কোভিডে আমাদের সরকার কীভাবে সাহায্য করেছে। আর ওরা একটা করে ইঞ্জেকশন দিয়েছে, আর তাতেও ছবি লাগিয়ে দিয়েছে। বলছে, বাংলা আমার আয়ুস্মান করছে না। কেন বলবে না, আয়ুস্মান করলে তার অর্ধেক টাকা আমাদের দিতে হবে না। ওদের প্রকল্পে যাদের বাড়ি একটা বাইক আছে, যার মাথায় ছাদ রয়েছে, তারা কেউই পাবে না। আমরা দয়া চাই না। আমরা চাই সব পরিবার পাক। স্বাস্থ্য সাথীতে তাই পেয়েছে।”

 

Latest article