রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) মন্তব্য নিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই চেয়ারটা একটা রেসপেক্টেড চেয়ার।“
রাজ্যপাল এদিন বলেন, গণতন্ত্রে আঘাত এলে তিনি চুপ করে থাকবেন না। এর পাল্টা মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তিনি চুপচাপ বসে থাকবেন না তো কি সবার চাকরি খাবেন। শিক্ষা দফতর চালায় যেখানে আমিও ইন্টারফেয়ার করি না। আমরা রাজ্যপালকে সম্মান দিই৷ সেই জন্য চেয়ার রাখা আমরা হস্তক্ষেপ করি না৷ এখন ৪২টা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে৷ এই নিয়ম যখন তৈরি হয়েছে তখন হাতে গোনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল৷ উপাচার্যরা পরীক্ষা নেবে, ছাত্রছাত্রীদের দেখবে নাকি রাজ্যপালকে গিয়ে হিসেব দেবে৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করি না৷ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন ভাবে চলার পক্ষে৷“ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “রাজ্যপালকে কেউ হয়তো ভুল বোঝাচ্ছে৷’’
আরও পড়ুন- ‘মোকা’ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
রাজভবনে উপাচার্য নিয়োগ বিল আটকে থাকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালের থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরনো আইন নিয়ে জানান,”তখন রাজ্য়ে ১২টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। তাই এই নিয়ম তৈরি হয়েছিল। এখন যদি বলেন, ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে, তাহলে উপাচার্যরা কী করবেন? পড়াবেন না কি এসব করবেন?” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “হিসেব দিতে হলে আমারা দেব। রাজ্য সরকার এমন কিছু করে না যাতে আমাদের উপাচার্যদের সমস্যা হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। সেই বিল অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। মমতা বলেন, ”ওঁকে বলব, পছন্দ না হলে ফেরত পাঠান। যাতে বিধানসভা আবার পাশ করাতে পারি। অনেক বিধানসভায় এই বিল পাশ হয়েছে।”