গৃহিণী যখন হোস্ট

পচা গরম হোক বা ভরা বর্ষা, জীবনের বিশেষ দিন, আনন্দের মুহূর্তগুলোকে উপেক্ষা করা যায় না। চাকরিতে প্রোমোশন, পরীক্ষায় সাফল্য বা হঠাৎ বিদেশ থেকে বন্ধুর আগমন— বাড়িতে ছোটখাটো পার্টির আয়োজন করতে শুধু অর্থ নয়, চাই বাড়ির গৃহিণীর পরিশ্রম এবং পার্সোনাল টাচ। কারণ সংসার আর সম্পর্ক— দুই সুখের হয় রমণীর গুণেই। কীভাবে করবেন এই গরমে ঘরোয়া পার্টির আয়োজন। কীভাবে সাজাবেন ঘর, কী মেনু রাখবেন, নিজেই বা কীভাবে সাজবেন—তারই নানা টিপস দিলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

কলেজে পড়ার সময় অর্ণাদের একটা বিশাল মার্কামারা গ্রুপ ছিল। সেই গ্রুপে ওর স্কুলের কয়েকজনও ছিল। অভিন্নহৃদয় যাকে বলে। পাপ, পুণ্যের ভাগীদার। তারপর আর কী, যে যার পথে। কেরিয়ার, সংসার যে যার মতো করে গুছিয়ে নিয়েছে। অর্ণা চাকরি করত, ছেলের ক্লাস ইলেভেন পড়ার সময় চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর সংসারী। সংঘমিত্রা পুণেতে। রনি ক্যালিফোর্নিয়া, সুদীপ্ত টরন্টোয়, আর অর্ণা, মিষ্টি, অরিজিৎ, সৌভিকরা কয়েকজন কলকাতায় সেটেলড। ফোনে যোগাযোগ রয়েছে সবার সঙ্গেই। অর্ণা দারুণ করে সাজিয়েছে ওর বাঁশদ্রোণীর বাড়িটা। রুফটপে ছাদ বাগান করেছে। ছাদের একপাশে সুন্দর ছোট কোজি এরিয়া রেখেছে গেট টুগেদারের জন্য। বাইরে লনে ঘাসগুলো লোক এসে ছেঁটে দিয়ে যায়। গালিচার মতো দেখতে লাগে। ওখানে বসার সুন্দর একটা জায়গা রেখেছে একটু সবুজে ঘেরা। ও রান্নাঘরেও ছোটখাটো একটা কিচেন গার্ডেনও করেছে। অর্ণা ভ্লগার। ওর ডেইলি ভ্লগে বাড়িটা দেখে বন্ধুরা মুগ্ধ। রনি অনেকদিন ধরে ইন্ডিয়া আসবে আসবে করছিল, উদ্দেশ্য অর্ণার বাড়ি যাওয়া, আড্ডা আর নিজের পৈতৃক বাড়ির কিছু কাজ সারা। আসলে ওরা চাইছিল যদি আবার সেই মার্কামারা গ্রুপটা এক হতে পারে। কিন্তু এর সময় হয় তো ওর হয় না। যাই হোক সময় হল তো এই পচা গরমে। বাইরে থেকে সবাই আসছে যে যার কাজে তবে একটা দিন অর্ণার বাড়ি সবাই মিট করবেই। দুপুরে লাঞ্চে জয়েন করবে বা ডিনারে। একে পচা গরম আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি, তার মধ্যেই দোস্তোদের পার্টি। অর্ণার মাথায় হাত। বাইরে থেকে রসালো, কষালো খাবার এনে খাওয়ানোই যায় কিন্তু বাড়ির রান্নার স্বাদই আলাদা। বিদেশ থেকে আসছে যারা, বাড়ির ঘরোয়া পরিবেশটাই তাদের জন্য রাখতে চায় অর্ণা। কারণ ঝক্কি থাকলেও অতিথি আপ্যায়নে যদি বাড়ির গৃহিণীর পার্সোনাল টাচটাই না থাকল তাহলে আর কী হল।
সত্যি, পার্টি অ্যারেঞ্জ করা, তাও নিজের বাড়িতে— সে কী মুখের কথা! পরিশ্রম প্রচুর। বাড়ি সাজানো থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া— সবই হতে হবে নিখুঁত। আয়োজন এমন হতে হবে, স্পেশাল গেস্টরা শুধু মুগ্ধই হবে না বরং একটা হোমলি ফিলিং আসবে তাদের কারণ ফার্স্ট ইম্প্রেশনটাই তো এখানে লাস্ট ইম্প্রেশন। আবার কবে দেখা হয় কে বলতে পারে। আসলে হাউস পার্টি যেমন সুন্দর একটা বিষয়, তেমনই এর ঝক্কিও অনেক। গৃহিণীই যখন হোস্ট, জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ তারই হাতে। কোথায় হবে, কখন হবে, কী মেনু থাকবে, কেমন সাজবেন— সবটা ছকে নেওয়া সহজ নয়। এক্ষেত্রে বলব আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লেগে পড়লে আপনি সফল হবেনই।
পার্টির প্রস্তুতি
আপনার বাড়ি যদি বড়সড় হয় অর্ণার মতো আর ছাদ বাগান, রুফটপ, লন ইত্যাদি থাকে তাহলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান। দিনের বেলার পার্টি হলে ছাদে করা যাবে না, সেক্ষেত্রে বাড়ির ড্রয়িং রুমেই অ্যারেঞ্জ করে নেওয়া যেতে পারে আর রাতে হলে অবশ্যই ছাদে বা লনে করা যেতে পারে।
ছোট পরিসরে ফ্ল্যাট হলে ড্রয়িং বা ডাইনিং রুমকেই সাজিয়ে-গুছিয়ে নিন। আধুনিক ফ্ল্যাটে ড্রয়িং কাম ডাইনিং রুমের সঙ্গেই ওপেন কিচেন থাকে ফলে সেখানে পার্টি হলে খাবার সার্ভ করতে অনেক সুবিধা হবে।
আগেরদিন সোফা কভার, কুশন কভার এগুলো পাল্টে ফেলুন। বসার জায়গার সঙ্কুলান থাকলে মেঝেতে কার্পেট বিছানো যেতে পেরে এতে অনেকে মেঝেতেও বসতে পারবে। বিনব্যাগ রাখতে পারেন দু’-তিনটে। যদি থিম পার্টি আয়োজন করেন তবে সেই অনুযায়ী যে-ঘরে পার্টি হবে সেখানকার আসবাব কভার, পর্দার রং সেই অনুযায়ী রাখুন। আর যদি থিম পার্টি না হয় তবে গরমে হালকা রং দিয়েই ঘর সাজান। কিছু আর্টিস্টিক ফুলদানিতে একটা কি দুটো করে ফুলের স্টিক রেখে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রাখতে পারেন। ছোট বনসাই জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। ঘরের মাঝখানে কোথাও একটা কালারফুল সেরামিকের গামলায় ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে রাখতে পারেন। ভরা গরম হোক বা বৃষ্টি, ফুল আর সবুজের সাজে ঘরের পরিবেশ মনোরম দেখাবে।
ছাদে পার্টি অ্যারেঞ্জ করলে ছাদ বাগানের একপাশে ছোট ছোট ছাতার ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বসার জায়গায় বাহারি আলো লাগালে ভাল লাগবে । আপনার লনেও এমনটা করা যেতে পারে। যদি অন্যরকম কিছু করতে চান, তা হলে বাড়িতে কাচের শিশি থাকলে সেগুলিকে পরিষ্কার করে তাতে পেন্টিং করে নিন। অথবা পাটের দড়িও জড়িয়ে নিতে পারেন। হয়ে গেলে বোতলের ভেতর টুনি লাইট লাগিয়ে নিন।
খাবার টেবিলটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। টেবিল ক্লথ বাছুন সুদিং কালারের। সুতির ক্লথের টেবিলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মাঝখান দিয়ে পেতে নিন রানার। প্রত্যেকের বসার জায়গা বুঝে প্লেট মাপ রাখুন ম্যাটের ওপর। কাচের বড় প্লেট টেবিলের একেবারে সামনে রেখে, আশপাশে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য ছোট বাটি সাজিয়ে রাখুন। তবে কোনও বাসনই সোজা করে রাখবেন না। খেতে বসার আগে পর্যন্ত তা উল্টে রাখাই দস্তুর। প্লেট যদি সোজা করে রাখতেই হয়, সেক্ষেত্রে তার উপর কাপড়ের ন্যাপকিন রাখা যেতে পারে। পার্টির দিন কিছু কাজ বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও ভাগ করে দিন, এতে আপনার চাপ কমবে।

আরও পড়ুন-নো থ্রাস্ট, লুজিং পাওয়ার, আন-এবল টু লিফ্ট পাইলটের শেষ কথাতেই লুকিয়ে রহস্য, সদুত্তর নেই প্রধানমন্ত্রীর

মেনুতেও রাখুন পার্সোনাল টাচ
মেনুতে কী কী রাখবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। একে গরম তায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি, আরও ভ্যাপসা আবহাওয়া। তাই লাঞ্চ হোক বা ডিনার, রাখতে হবে হালকা হোমমেড সুস্বাদু পদ। সুগৃহিণীর পরিচয় তার হাতের গুণ আর কম বাজেটে ফাটাফাটি মেনু। লাঞ্চের আগে অভ্যর্থনা জানাতে ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক মাস্ট। বন্ধুবান্ধব হোক বা অন্য অতিথি, তেতেপুড়ে ঢুকে শরবতেই নতুন করে এনার্জি ফিরে পাবে তাই ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত বা মকটেল পরিবেশন করুন। একেবারে দেশি দইয়ের ঘোল থেকে কাঁচা আমের শরবত, ম্যাঙ্গো কুলার, ওয়াটারমেলন মিন্ট মকটেল, মোইতো, আমপান্না, লস্যি, ফ্রেশ লাইম সোডা, বাটারমিল্ক, জলজিরা বা সিধেসাধা নারকেল বা ডাবের জল— যা মন চায় রাখুন। এর সঙ্গে স্টার্টারে মিক্সড ফ্রুট স্যালাড, বেসনের পকোড়া, কাটোরি চাট, পাপড়ি চাট, পনির টিক্কা, কাবাব, বেবিকর্ন ফ্রাই, তাওয়া ফিশ চলতে পারে। হালকা ফুলকা পাস্তা, নুডুলস রাখতে পারেন। দেখবেন স্টার্টার যেন বেশি না হয় কারণ মেনকোর্স এবং ডেজার্ট রয়েছে। গরম তাই সবই মেনু কম রাখুন, এতে খেতে-খাওয়াতে সুবিধা এবং শরীর খারাপ হবে না। একটা রাইস আইটেম, দুটো মেন আইটেম— একটা ভেজ, একটা ননভেজ। ডিনার পার্টি হলে বাটার রুটি বা নান রাখতেই পারেন। তবে সামার মনসুন পার্টি হোক বা শুধু সামার পার্টি, ঝাল, ঝোল, অম্বল কখনওই নয়। ডেজার্টে ম্যাঙ্গো পুডিং, মালাই পুডিং, কফি মিল্ক পুডিং, ফ্রুট কাস্টার্ড, নারকেলের কাস্টার্ড, আনারসের পায়েস, শাহী টুকরা, শির খুরমা, চিজ কেক, প্যানাকোটা যেটা বাছাই করবেন খেয়াল রাখবেন গার্নিশিং এবং পরিবেশনে যেন থাকে আপনার স্পেশাল টাচ।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

পার্টি ওয়্যার
গরমের পার্টি পোশাকের ক্ষেত্রে যেটা সবার আগে মাথায় রাখতে হয় তা হল, আপনিই হোস্ট, কাজেই আপনার চাপ বেশি কারণ আপনাকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে চলবে না। সবাইকে অ্যাটেন্ড করতে হবে তাই কমফোর্ট হবে আপনার পুরো লুকের শেষকথা। তাই আড্ডা, দৌড়ঝাঁপ, খাবার পরিবেশন— কোনওকিছুতে যেন ক্লান্তি না আসে তাই যত মিনিমাল লুক তত ঝরঝরে থাকতে পারবেন। অফিসে ফরমাল পরে কেটে যায় আর সপ্তাহান্তে এক-আধটা ক্যাজুয়াল ওয়্যার। তাই এই দিনে অন্যকিছু বাছুন। সবার আগে পোশাকের কালার প্যালেট সিলেক্ট করুন। থিম পার্টি হলেও কালার প্যালেট হবে সুদিং, আর্দি ও নিউট্রাল টোনের, নিউড টোনের। যেমন হোয়াইট, ব্রাউন, ট্যান, বেইজ, খাকি, গ্রিন, অলিভ, মস, রাস্ট ইত্যাদি। নিউড টোনে রোজ পেটাল, পিচ ব্লুম, ব্লাস বেইজ, নিউড ব্রাউন ইত্যাদি। আর পোশাকের ক্ষেত্রে আপনার জন্য সেরা অপশন হল ড্রেস। কারণ খুব কমফোর্টেবল থাকতে পারবেন, কষ্ট হবে না। নি লেন্থ ড্রেস পরতে পারেন। অথবা লং ড্রেস। তবে মেটিরিয়াল সুতি, খাদি, নরম হ্যান্ডলুম, পিওর লিনেন হলেই ভাল। ফ্লোরাল প্রিন্ট, হালকা স্ট্রাইপ, চেকস অতিথিদের চোখকে আরাম দেবে। যখন আপনি হোস্ট তখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু আপনিই তাই সাজ হবে সিম্পল অথচ জমকালো। পোশাকের আরও একটা ভাল অপশন হল স্কার্ট। সুতির আজরাখ প্রিন্ট বা ভেজিটেবল প্রিন্টের, টাই অ্যান্ড টাই-এর লং বা মিড লেন্থ স্কার্ট মানানসই। উপরে টি-শার্ট কিংবা টপের সঙ্গে পরতে পারেন স্কার্ট। কোমরে একটা বেল্ট ও ট্রাই করতে পারেন মন্দ লাগবে না। যদি শর্ট স্কার্ট পরেন তার সঙ্গে পায়ে স্নিকার বা পা ঢাকা জুতো পরুন। বাড়ির ভিতর পার্টি হলে একটু স্টাইলিশ বাড়ি পরার চপ্পল পরতে পারেন। খালিপায়ে থাকবেন না। স্কার্টের পাশাপাশি কটন ঢোলা হারেম বা ধোতি প্যান্ট সঙ্গে এথনিক নি লেন্থ টপ খুব ক্যাজুয়াল অথচ স্টাইলিশ লাগবে। যদি সব পোশাকেই আপনি স্বচ্ছন্দ হন তবে জাম্পস্যুট, লুজ ফিট কটন ট্রাউজার সঙ্গে ক্রপটপ পরতে পারেন।
যদি শাড়ি পরতে চান তাহলে একটু লাইট সিম্পলের ওপর লাইট ওয়েট, সুতির কিছুই বেছে নিন। টাই অ্যান্ড ডাই, মলমল, ভেজিটেবল প্রিন্ট, শিবলি প্রিন্টের সিম্পল কটন শাড়ি পরুন। আজরাখ বা খেস বা বেগমপুরী-এর শাড়ি দিনের বেলায় পরতে যাবেন না, সুতি হলেও একটু মোটা হয়। ধনেখালি মাড় ছাড়া তাঁত খুব আরামদায়ক হবে, খাদি কটন বা নরম প্লেন হ্যান্ডলুম শাড়ি সঙ্গে সুতির ডিজাইনার কাট ওয়র্কের ব্লাউজ বা লুজ ফিট ক্রপ টপ বা অফশোল্ডার টপ দিয়ে পরতে পারেন।
পার্টি রাতে? তাহলে শিফন, জর্জেট আর নেটের সঙ্গে হালকা র-সিল্কের মিনিমাল ডিজাইনের কিছু পরতে পারেন। রাতের পার্টিতে গরম তো কমবে না তাই কালো এড়িয়ে চলুন। রাতের থিমেও পেস্টাল শেড খুব আরামদায়ক হবে। লিনেন, খাদি সিল্ক, কোষা সিল্ক— হালকা যে কোনও শাড়ি বা সেই মেটিলিয়ালের ড্রেস পরতে পারেন।
ফ্লোরাল বা স্ট্রাইপড টপের সঙ্গে বোহেমিয়ান বটমস ওয়্যার এখন খুব চলছে। আরামদায়ক এই পোশাকে আপনাকে যথেষ্ট ফ্যাশনেবল দেখতে লাগবে। হ্যান্ডলুমের ড্রেস বা সাধারণ শার্ট-প্যান্ট পরলে তাকে আকর্ষণীয় করতে সঙ্গে নিন জামদানি বা মিহি সুতোয় বোনা স্কার্ফ অথবা শ্রাগ। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকে সাজতে হলে ইক্কত প্রিন্টের কোনও গাউন বা জামদানির কুর্তি পরতেই পারেন।

আরও পড়ুন-পাতার বাঁশিতে মহবুবলের শহিদ-স্মরণ

মেক-আপ আর গয়না
আপনি হোস্ট কাজেই ভারী ভারী গয়না ক্যারি করা গরমে বেশ মুশকিল। চেষ্টা করুন লাইট ওয়েট স্টেটমেন্ট জুয়েলারি পরতে। থিম পার্টি হলে ক্লাসিক স্টাইলের থিম ভিত্তিক ডিজাইনের অর্নামেন্ট পরুন। অক্সিডাইজড সিলভার রাখুন ইন্দো ওয়েস্টার্ন বা এথনিক ওয়্যারের সঙ্গে। শাড়ি পরলে গলায় হালকা নেকপিস, বিডস, কাপড়ের গয়নাও ভাল লাগবে। যদি মিনিমাল সাজেই আপনার রুচি হয় তাহলে কানে ছোট্ট স্টোনের স্টাড বা ছোট্ট ডায়মন্ড ইয়ারিং, নোজপিন, হাতে ডায়মন্ড বা আমেরিকান ডায়মন্ডে সরু ব্যাঙ্গেল ব্যস। আপনার মুখ বা চেহারা বড়সড় হলে একটু বড় ইয়ারিং মানাবে।
পার্টি মেক-আপ মানেই হেভি এমন কনসেপ্ট এখন উধাও। আই মেক-আপ একটু সাটল রাখুন সঙ্গে নিউড লিপ ব্যস। নো মেক-আপ লুকই ট্রেন্ডে। এখন বিয়ের কনেও এমন করেই সাজছেন যাতে তাকে ন্যাচারাল দেখতে লাগে। ম্যাটফিনশড বেশিক্ষণ স্টে করবে ওয়াটারপ্রুফ মেক-আপ ব্যবহার করুন। রাতে হাইলাইটারের সামান্য রাখতে পারেন কিন্তু দিনে কখনওই নয়। চুল বাঁধা থাকলেই ছিমছাম থাকতে পারবেন, গরমে কাবু কম হবেন। তাই নানাভাবে চুলে বাঁধুন। ছোট চুল হলে খোলা রাখতে পারেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন ঘাড়ের কাছটা যেন হাওয়া-বাতাস খেলে না হলে গরম বেশি লাগবে চট করে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।

Latest article