প্রতিবেদন : ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে শেষে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগের তির দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দিকে, তা মেনে নিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপির সকল সমস্যার সমাধান তিনমাসের মধ্যে করার আশ্বাস দিয়েছে তারা। কিন্তু কীভাবে সেই কাজ করবে নির্বাচন কমিশন, তা জানতে চায় তৃণমূল (TMC)। আগামী মঙ্গলবার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখনও জানাতে পারল না কতগুলি ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যু করা হয়েছে, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে তারা ডেটলাইন দিয়ে দিল! অথচ এখনও তারা চুপ ডুপ্লিকেট এপিকের সংখ্যা নিয়ে। তৃণমূল জানতে চায়, সবকিছু জেনেও এতদিন চুপ থাকার কারণ কী? কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে এই সিদ্ধান্ত? এইসব প্রশ্ন নিয়েই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০ জনের প্রতিনিধি দল কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে। কমিশনের আশ্বাসে ভুলেও থামতে চাইছে না তৃণমূল। ‘ভুতুড়ে’ ভোটার নিয়ে তৃণমূল চাপ রেখে দিতে চাইছে কমিশনের উপর। ভোটার তালিকা থেকে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর আগামী ৩ মাসের মধ্যে কীভাবে সরানো হবে তা জানতে ১০ জন সাংসদ মঙ্গলবার দেখা করবেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দলে থাকবেন লোকসভার ৬ সদস্য, রাজ্যসভার ৪ জন সদস্য। নির্বাচন কমিশনে তাঁদের প্রশ্ন থাকবে, কেন তারা জানাতে পারছে না যে দেশে কতগুলি ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু হয়েছে? কেন ধরা পড়ার পরও তারা সমস্ত বিষয়টি অন্ধকারে রেখেছে? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, তিনমাসের মধ্যে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড সংক্রান্ত ত্রুটি কী করে মেটানো হবে, যখন জানাই নেই যে মোট কত ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু হয়েছে? আগে তার জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
আরও পড়ুন- লজ্জা! কংগ্রেসের কর্নাটকে বিদেশিনী-সহ দুই মহিলাকে ধর্ষণ, বাধা দিয়ে খুন সঙ্গী