প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর সাফল্য নিয়ে রাজ্যসভার আলোচনায় মোদি সরকাররের সমালোচনায় সরব হল ইন্ডিয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর সফল অভিযানের কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ইন্ডিয়া শিবিরের সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তাকে নিজেদের কৃতিত্ব হিসাবে তুলে ধরে রাজনৈতিক প্রচার করছে বিজেপি। অথচ বকেয়া বেতন পাচ্ছেন না চন্দ্রযানের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা। তৃণমূলের তরফে চন্দ্রযান নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংসদ জহর সরকার। তিনি বলেন, এই সাফল্য ৬ দশকের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল। তাঁর কথায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই অবদান রয়েছে, তবে এই সাফল্যের পথ যিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন, তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভুলে গেলে চলবে না। বিজেপি শিবিরের তরফে ডারউইন, আইনস্টাইন, নিউটনের তত্ত্ব খারিজ করার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এটা ভেবে সত্যিই ভাল লাগছে যে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের জয় হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, ইসরোর বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য আমরা পর্যাপ্ত অবদান রাখতে পারছি না। আমাদের কাছে এই বিষয়টি লজ্জার। আমরা চন্দ্রযান নিয়ে এত দীর্ঘ আলোচনা করলেও মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় নেই।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের তুঘলকি আচরণে ভবিষ্যতে চিকিৎসকদের মান নিয়ে সংশয়
তৃণমূলের অপর বক্তা ছিলেন শান্তনু সেন। তিনি বলেন, বাংলার ৩১ জন বিজ্ঞানী, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুজ নন্দী। তিনি চন্দ্রযানের সঙ্গে যুক্ত ক্যামেরার নকশা করেছিলেন। ১৮ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় রাস্তায় ইডলি বিক্রি করছেন ঝাড়খণ্ডের দীপক উপরারিয়া। আমাদের প্রচার সম্রাটকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করছি। ইন্ডিয়া শিবিরের তরফে প্রথম বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ। তাঁর কথায়, সভার নেতা এক সময়ে মনে করতেন, ২০১৪ সালের পর থেকে ইসরোর গৌরবোজ্বল অধ্যায় শুরু হয়েছে। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। প্রথম মাইলফলক ছুঁয়েছিল ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ইসরোর প্রতিষ্ঠা, সতীশ ধাওয়ানের সেখানে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইসরোর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ডারউইনকে পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক চাঞ্চল্য তৈরি হতে পারে?