প্রতিবেদন : মোদির পিএম-কেয়ারস ফান্ড নিয়ে বোমা ফাটাল তৃণমূল। দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল, এই ফান্ডকে কেন্দ্র করে এক বড় মাপের দুর্নীতিকে কেমন করে আড়াল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডেলে একের পর চোখা চোখা প্রশ্ন তুলে জানতে চাইলেন, পিএম কেয়ারস ফান্ডের নামে ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আদায় করা প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? যে তহবিলের জন্য সরকারি ওয়েবসাইট এবং জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে তাকে ব্যক্তিগত তহবিল বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন কোন যুক্তিতে? এত বিশাল অঙ্কের ব্যক্তিগত তহবিলের কী প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর? ২০২০-তে শুরু করা পিএম-কেয়ারস ফান্ডের অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট বা আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ ২০২৩ সালের পরে বন্ধ করে দেওয়া হল কেন? গত ২ বছর ধরে কেন এ-ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে মানুষকে? সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়, তথ্যের অধিকার আইনে এ-ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পিএম-কেয়ারস দাবি করেছে, এটি ব্যক্তিগত তহবিল, সরকারি নয়।
আরও পড়ুন-কথা দিলে কথা রাখেন, পহেলগাঁও হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর বাবা-মায়ের পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রশ্ন উঠেছে, এমন অদ্ভুত এবং অযৌক্তিক অজুহাত দিয়ে কি আড়াল করা হচ্ছে আসল রহস্য? এখন তাদের নিজস্ব রিপোর্টের ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে, ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ৩ বছরে এই তহবিলে এসেছে ৩০,০০০ কোটি টাকা। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, এই টাকা ব্যবহার করা যেত ২০টি এইমস হাসপাতাল খাতে, প্রত্যেক ভারতীয়কে দেওয়া যেত কোভিড ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ। আশ্চর্যের বিষয়, তা সত্ত্বেও কোভিড-১৯ ভ্যাকশিন দেওয়ার জন্য বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে মোদি সরকার ঋণ নিল ২৭,০০০ কোটি টাকা। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ থেকে যা খরচ করা হয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত হল এই অতিরিক্ত খরচ। এবং এই ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। এই বিশাল অঙ্কের বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ বছরে ১৫০০ কোটি টাকা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের মানুষের ঘাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পিএম কেয়ার ফান্ডে ৩০,০০০কোটি টাকা থাকা সত্ত্বেও কেন আবার নেওয়া হল ২৭,০০০ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ? সবচেয়ে বড় কথা ৫০,০০০ কোটি টাকার ব্যক্তিগত তহবিলের কী প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর?তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, কোভিড মহামারীর সময় হঠাৎ করেই একটি নতুন পিএম কেয়ার তহবিল গঠন করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত আমরা এখনও জানি না, অপ্রকাশিত দাতা কারা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের মূল কথা ডায়ালগ, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অ্যানালগে বিশ্বাস করেন। তিনি শুধু বলেন, শোনেন না কিছুই। কোনও প্রশ্ন করার সুযোগই দেন না।