যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলাকারী ওরা কারা?

তাই এক ঘন্টার অপারেশনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাণ্ডব চালাল এসএফআইয়ের লুম্পেনরা। সঙ্গ দিল বেশ কিছু বহিরাগত।

Must read

প্রতিবেদন : ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আসবেন তা আগে থেকেই জানা ছিল। পরিকল্পনা ছকে নেওয়া হয়। কারা হামলা করবে, তাদের কোথা থেকে আনা হবে, কে কোথায় পজিশন নেবে, কখন গন্ডগোল শুরু হবে, কে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করবে, কারা চেয়ার ভাঙবে কারা সরাসরি মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা করবে কারা অধ্যাপকদের উপর হামলা করবে কারা ছাত্র-ছাত্রীদের টার্গেট করবে— সবকিছু নিখুঁত পরিকল্পনায় ছকা ছিল। তাই এক ঘন্টার অপারেশনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাণ্ডব চালাল এসএফআইয়ের লুম্পেনরা। সঙ্গ দিল বেশ কিছু বহিরাগত। যোগ্য সঙ্গত করেছে অতি-বামেরাও। ক্যামেরায় যাদের তাণ্ডব করতে দেখা গিয়েছে তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-সাংগঠনিক সভায় কর্মীদের জোয়ার

এদের মধ্যে একজন নাদিম হাজারি। বর্ধমান টাউনে বাড়ি, যাদবপুরেরই পড়ুয়া। এই ছেলেটি শিক্ষামন্ত্রীর চেয়ার ভাঙচুর, অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়কে মারধর এবং এক মহিলা অধ্যাপিকাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি ও হুমকি দেয়। এবং বাকিদের গাইড করে হামলার জন্য। আরও কয়েকজনকে ছবিতে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যদিও তাদের নাম এখনও সামনে আসেনি। সেই কাজ চলছে। তবে যাদবপুরের ভেতর থেকে উঠে আসছে আরও একটি তথ্য। একদম নিখুঁত পরিকল্পনা নিয়ে যারা সামনে থেকে অ্যাকশন করেছে তাদের পেছনে ছিল আরও একটি গ্রুপ। যারা সামনে না এলেও পেছন থেকে পুরো অ্যাকশন কন্ট্রোল করেছে। এই গ্রুপটির মধ্যেও এসএফআই, নকশাল ও বহিরাগতের মিশেল রয়েছে। এদেরও চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচিতির বাইরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে বহিরাগতদের নিয়ে এসে নিখুঁত পরিকল্পনায় এভাবে শিক্ষামন্ত্রীর ওপর আক্রমণ এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হল? এ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Latest article