পালাবদলের পর কে?

যুবসমাজের বিক্ষোভে মাত্র দু’দিনেই বদলে গেল নেপালের রাজনৈতিক চিত্র।

Must read

শাওনী দত্ত: যুবসমাজের বিক্ষোভে মাত্র দু’দিনেই বদলে গেল নেপালের রাজনৈতিক চিত্র। তবে দেশের গোটা নবীন প্রজন্মকে একজোট করে এত বড় আন্দোলন সংঘটিত করা যে শুধু কোনও একজনের কাজ নয়, তা স্পষ্ট হয়ে যায় মঙ্গলবারই। আন্দোলনকারীরাই তুলে ধরেন একের পর এক নিজেদের নেতার নাম।

আরও পড়ুন-‘তেজস্বিনী’ কর্মসূচি, ছাত্রীদের আত্মনির্ভরতার পাঠ পুলিশের

যার মধ্যে প্রভাবশালী ইউটিউবার সুদান গুরুং যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন ব়্যাপার থেকে রাজনীতিতে উঠে আসা বলেন্দ্র শাহ। আবার মঙ্গলবারই জেল থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির প্রেসিডেন্ট রবি লমিছানেকে। আর তার পরেই নেপালে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রাথমিক কারণ হলেও সরকারের শীর্ষনেতাদের দুর্নীতি থেকে স্বজনপোষণ ও বৈষম্য; মূলত এসবের বিরোধিতা করেই আন্দোলনে সরব নেপালের যুবসমাজ। সেইসাথে কর্মসংস্থানের বেহাল পরিস্থিতিও ক্ষোভের অন্যতম অনুঘটক। দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছিল ইউটিউবার তথা সমাজকর্মী সুদান গুরুংয়ের বিভিন্ন ভিডিও। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়াই নিষিদ্ধ করে দেয় ওলি প্রশাসন। যদিও সোমবার থেকে নেপালের বিভিন্ন শহরে শুরু হওয়া আন্দোলনে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি সুদানকে। অন্যদিকে একসময় যুব সমাজের মন জয় করা ব়্যাপার তথা কাঠমান্ডু শহরের মেয়র বলেন্দ্র শাহর নাম এই পরিস্থিতিতে সামনে এসে পড়েছে। কর্নাটক থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বলেন্দ্র নেপালি যুব সমাজের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

Latest article