প্রতিবেদন : অমিত শাহের ডেপুটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে কারা থাকেন? তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন? তার অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত। কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই দাবি জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই হিংসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মন্ত্রী ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।
আরও পড়ুন-বিরোধীরা ব্যস্ত কুৎসা-অপপ্রচারে, তৃণমূল মানুষের পাশে
মন্ত্রী এদিন তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করে এনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে হামলা চলছে। রাজ্যপালের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, রাজ্যপাল বলেছেন যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটবে সেখানেই পৌঁছে যাব। যাবতীয় রিপোর্ট পাঠাব কেন্দ্রকে। রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, আপনি দিনহাটায় আসুন। দেখুন। কীভাবে নির্বিচারে হিংসার ঘটনা ঘটছে। কীভাবে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। রক্ত ঝরছে। দেখে আপনি কেন্দ্রেকে রিপোর্ট পাঠান।
আরও পড়ুন-দূষণ রুখতে এবার ব্যাটারি চালিত ভেসেল
মন্ত্রীর কথায় সমর্থন জানিয়ে একই প্রশ্ন তোলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দস্যু দস্যুবৃত্তি চালাচ্ছে। তারই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন আমি দস্যু নই। তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন তিনি কী। এ নিয়ে বলার কিছু নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর এই অন্যায় আক্রমণ আমরা বরদাস্ত করব না। মানুষ এর প্রতিবাদ জানাবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে যখন দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করছে তখন সীমান্তরক্ষীরা কোথায় ছিলেন? নিরীহ গ্রামবাসীদের অনুপ্রবেশকারী অভিযোগ তুলে পিটিয়ে মারা হচ্ছে কিন্তু আসল অনুপ্রবেশকারীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? একই প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়াও।