চোর অপবাদে আত্মঘাতী নাবালক দায়ী কে, তা নিয়ে চাপান-উতর

‘মা আমি বলে যাচ্ছি আমি কুরকুরেটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম চুরি করি নি।’

Must read

প্রতিবেদন : ‘মা আমি বলে যাচ্ছি আমি কুরকুরেটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম চুরি করি নি।’ এমন মর্মান্তিক নোট লিখে আত্মঘাতী হয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু। কারণ তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে সকলের সামনে নাকি কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এমনকি তার মাও বিশ্বাস করেননি তাকে। এর জেরে নাবালকের কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা সাধারণ মানুষজনের মনে তীব্র অভিঘাত তৈরি করে।
পরে সিসিটিভির ফুটেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যায়, সে টাকা হাতে নিয়ে দোকানে যাচ্ছে। দোকানিকে দেখতে না পেয়ে দোকানের সামনেই পড়ে থাকা তিনটি প্যাকেট কুড়িয়ে ফিরে আসছিল। পথে তাকে ধরে দোকানি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর মাইতি বকাঝকা করে। কৃষ্ণেন্দু জানায়, সে কাউকে দেখতে পায়নি বলেই পড়ে থাকা প্যাকেট কুিড়য়ে নিয়েছিল। সে দোকানিকে ২০ টাকা দেয়। দোকানি পরিচিত বলে জানায়, পাঁচ টাকা পরে নিতে। এই পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে চোর অপবাদ ছড়াল কে! তাতেই সামনে এসেছে ‘জামাই’ নামে একজনের নাম। তিল কে তাল করতে সে নাকি পটু। তারপর থেকে তার দেখা নেই। যে দোকানি শুভঙ্করকে ভিলেন বানানো হয়েছিল, ফুটেেজ দেখা গিয়েছে, সেই মায়ের শাসন থেকে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন-জম্মুতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

হাসাপাতালে তিনদিন চিকিৎসা চলার পর নাবালকের মৃত্যু হয়। কিছু লোক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এদিকে কে যে নাবালকের মৃত্যুর জন্য দায়ী তা নিয়ে চলেছে চাপান-উতর। মায়ের অভিযোগ দোকানির দিকে। নাবালকের দাদুর অভিযোগ, মৃত্যুর জন্য দায়ী ওর সৎ বাবা ও মা। এখনও বাড়ির কেউই এফআইআর করেনি, যা রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।

Latest article