প্রতিবেদন: এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিল হু। মানুষের শরীরে দীর্ঘ পরীক্ষার পরেই ম্যালেরিয়ার টিকায় সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। ম্যালেরিয়ার টিকার নাম আরটিএস, এস/ এএস-০১।
বহু রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও এতদিন ম্যালেরিয়ার টিকা ছিল না। ফলে বিশ্বের বহু দেশের কাছে ম্যালেরিয়া এখনো রীতিমতো আতঙ্ক। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলিতে এখনো ম্যালেরিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রতিবছর গোটা বিশ্বে ৫ লক্ষাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারান। ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছিল।
আরও পড়ুন: আরএসএসের ভুয়ো প্রচার জেনেও নীরব ফেসবুক! বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে আফ্রিকার একাধিক দেশে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছিল। শিশুদের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্টও যথেষ্টই সন্তোষজনক। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ছড়ায়। ম্যালেরিয়া অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। ফলে কোনও এলাকায় একজন মানুষ আক্রান্ত হলে সহজেই আরো অনেকেই ম্যালেরিয়ার শিকার হন। এই রোগ প্রতিরোধে কোনও টিকা এতদিন ছিল না। কোন ওষুধে সাফল্য মিললেও সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৫ থেকে ১৭ মাসের শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডার্স অ্যাডহাম ঘেব্রেইসাস বলেন, দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্ব শেষের পর ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের ব্যাপক ব্যবহারের অনুমতি দিল হু। এটা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশা, এবার ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই একেবারেই সহজ হয়ে গেল।