প্রতিবেদন : বিজেপির চক্রান্তের পর্দাফাঁস হয়ে গেল। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের তালিকা প্রকাশ হতেই স্পষ্ট, জনগণের অর্থে কাদের সুরক্ষা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি বাংলার বেশকিছু বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তৃণমূল সেই তালিকা প্রকাশ করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, যাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তাঁরা কারা। পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সংসদীয় ক্ষেত্র ও উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপি ভোটের কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও লোকসভা নির্বাচনে জয় অধরা থেকে যায় বিজেপির। মানুষের সমর্থন হারিয়ে বিজেপি এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন: নতুন ৪ ক্লাবের আবেদন পুজো অনুদানের জন্য
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট, বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। ভোট ফুরনোর কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তই তার প্রমাণ। পূর্ব মেদিনীপুর ও সন্দেশখালি এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করে দেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিকা প্রকাশ করে লেখেন, বিরোধী দলনেতার জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও ভোটের আগে শিরোনামে আসা সন্দেশখালির বহু লোককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের অধিকাংশই বিজেপি নেতা-কর্মী। এখন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক নির্দেশে এঁদের সবার নিরাপত্তা একসঙ্গে তুলে নেওয়া হল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর স্পেশ্যাল সিকিউরিটি গ্রুপ, সিআইএসএফের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই নির্দেশ দেয় সিআইএসএফ-কে। সেইমতো নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪ জন ও উত্তর ২৪ পরগনার ১৩ জন বিজেপি নেতার। সেই তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই বিরোধী দলনেতার জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র সন্দেশখালির। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, ভূপতিনগরের এবং উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট ও সন্দেশখালির নেতাদের সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছিল। প্রত্যেক নেতার সঙ্গে ছিল দুই সশস্ত্র জওয়ান। বিজেপির লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে টাকা ছড়িয়ে, পরিবেশ উত্তপ্ত করে, গোটা দেশের নজর ঘুরিয়ে সন্দেশখালি ও বিরোধী দলনেতার জেলায় জয় হাসিল করা। সিআইএসএফের নিরাপত্তার তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির সেই চক্রান্তের পর্দাফাঁস হয়ে গেল।