বাংলার শিল্পপতিদের চোখে ‘নতুন বাংলা’

Must read

হর্ষবর্ধন নেওটিয়া : আমাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে বাংলায় (West Bengal)। কারণ, বাংলায় ব্যবসা করে আমরা যথেষ্ট খুশি এবং সফল। সরকারের তরফেও আমরা প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচণ্ডভাবে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আদর্শে বিশ্বাস করেন। তাই তাঁর নেতৃত্বে সমস্ত সম্প্রদায়ের ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা রাজ্যে ব্যবসার জন্য সাদরে অভ্যর্থনা পান।

সত্যম রায়চৌধুরী : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের দুটি ইতিবাচক দিক হল দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং কাজ। ২০১৭ সালে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বিল পাশ করেন। আবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে দেশের প্রথম স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয় করতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও তৎপরতা দেখেছি। আজ বাংলার প্রথম ম্যানচেস্টার সিটি স্পোর্টস স্কুল তৈরির জন্য মউ চুক্তি সই করেছি।

শাশ্বত গোয়েঙ্কা : দুশো বছর ধরে গোয়েঙ্কা পরিবার বাংলায় (West Bengal) ব্যবসা করছে। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি রাজ্যের ব্যবসা ও শিল্পকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। যেকোনও দরকার চাইলেই তাঁকে পাওয়া যায়। বাংলার উন্নয়নের লক্ষ্যে অবিচল মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন। এখানকার প্রশাসন ও আমলারাও ভাল। তাই বাংলায় আসুন, বাংলায় বিনিয়োগ করুন।

রুদ্র চট্টোপাধ্যায় : বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত ক্রমবর্ধমান দেশের সবচেয়ে দ্রুত ক্রমবর্ধমান রাজ্য বাংলায়। শেষ দশবছরে এ-রাজ্যের জিডিপি ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তাই বাংলায় বিনিয়োগ করুন। এখানকার প্রসিদ্ধ দার্জিলিং চা ব্রিটিশ রাজবাড়ির সদস্যরাও খান। সেই চা উৎপাদনকারী হিসেবে আমরা যেকোনও ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। এখন নানারকমভাবে চা পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশ-বাংলা ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে চাই।

আরও পড়ুন-লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনারকে পাশে বসিয়ে বাংলায় লগ্নির আহ্বান, বন্দিত মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পনীতি

সঞ্জয় বুধিয়া : বাম আমলের মতো শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তাই এ-রাজ্যে কাজ করা পছন্দ করি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে শিল্পনীতি সরলীকরণ হয়েছে। ধর্মঘট উঠে গিয়েছে, এখন শুধু গতির বাংলা। বেশি ভাববেন না, বাংলায় বিনিয়োগ করুন। কারণ, এটাই ‍‘বেস্ট’ বেঙ্গল।

মেহুল মোহাঙ্কা : আমার বাবা বাংলায় ব্যবসা শুরু করেন। আমিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় সেই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এখন আমাদের কোম্পানি চারটি মহাদেশে ব্যবসা করে। বাংলায় আমাদের তিনটি প্ল্যান্ট রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কখনও আমি শ্রমিক আন্দোলনে শ্রমদিবস নষ্টের সমস্যা হয়নি। বাংলাই এখন বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। তাই আজ আমি ঘোষণা করছি, ৩০০ কোটির লগ্নি করে কল্যাণীতে কারখানা করব। উপকৃত হবেন ৫০০ পরিবার।

তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা : ভারতের দ্রুত ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের কেন্দ্রস্থল বাংলা। শিল্প এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলার পুনর্জন্ম হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওয়েস্ট বেঙ্গল এখন বেস্ট বেঙ্গল। আমাদের কোম্পানি রিলায়েন্স ২০১৬ সালে প্রথমবার বাংলায় বিনিয়োগ করে ২০০ পাউন্ড। আর এখন বাংলায় আমাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন পাউন্ড। আগামী দশকে এই সংখ্যা আমরা দ্বিগুণ করব। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখন সত্যিই ‍‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস’।

সি কে ধানুকা : বাংলায় আমাদের দুটি প্ল্যান্ট ইতিমধ্যেই রয়েছে। আগামী ২০২৭ সালে তৃতীয় প্ল্যান্টটির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিনিয়োগ করে এখনও পর্যন্ত আমার এক পয়সাও লোকসান হয়নি। বাংলা বিনিয়োগের আদর্শ ক্ষেত্র। এখানকার সরকার ব্যবসার জন্য সমস্তরকম সহযোগিতা করে।

কে কে বাঙ্গুর : বাংলায় আমাদের সর্ববৃহৎ প্ল্যান্টটি রয়েছে। এখানে আমরা গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করছি। সাম্প্রতিককালে আমরা বাংলায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছি। শুধু তাই নয়, কর্নাটক থেকে একটি অপারেশন সেন্টার বাংলায় স্থানান্তর করেছি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এখন শিল্প-বাণিজ্যের জন্য আদর্শ। তাই বাংলায় বিনিয়োগ করুন।

উমেশ চৌধুরী : বাংলায় কারখানা করার সুবিধা অনেক। দক্ষ শ্রমিক, কম খরচ, সরল সরকারি নীতি; সবদিক থেকেই অন্য কোনও রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয় না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের অগাধ সমর্থন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উন্নয়নে সঙ্গী করেছেন শিল্পমহলকেও।

Latest article