প্রতিবেদন : তিনমাস আগে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে প্রকাশ্যে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তাঁদের কেন তৃণমূল (TMC) আয়োজিত কোনও মঞ্চে দেখা যাবে? আরজি করের জঘন্য ঘটনা নিয়ে একদল মানুষ নাগাড়ে রাস্তায় নেমে, কেউ টিভিতে, কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার চালালেন। তাঁদেরও কেউ কেউ এখন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আয়োজিত মঞ্চে টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান করছেন। এটা মানা যাচ্ছে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তাঁদের কুৎসিত ও ভয়ঙ্কর আক্রমণ সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের আবেগে আঘাত করেছিলেন। আহত করেছিলেন কর্মীদের ভাবাবেগকে। সেই সমস্ত শিল্পী ও সেলিব্রিটিদের লজ্জা করছে না এখন টাকা নিয়ে তৃণমূল আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসতে? সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একই প্রশ্ন তুলেছেন দলের দুই যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ও মৃত্যুঞ্জয় পাল। তাঁদের আবেদন এই সমস্ত শিল্পীরা অন্য অনুষ্ঠানে পারফর্ম করুন, কিন্তু তৃণমূল আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে যেন তাঁদের ডাকা না হয়।
আরও পড়ুন-শালবনি স্টেশনে রেলের তাণ্ডব, বেঘর হলেন বহু মানুষ, ব্যবসায়ী
এ-প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নামটা কর্মীদের কাছে একটা আবেগ। তিনমাস ধরে যাঁরা অপপ্রচার করলেন, আন্দোলন স্তিমিত হতে তাঁরাই এখন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসছেন। সেই অপপ্রচারের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মীরা সাধ্যমতো লড়াই করেছেন। এখন যদি ওই শিল্পীদের দেখা যায় তাহলে তা কর্মীদের আবেগকে আহত করবে। শিল্পীদের বিরুদ্ধে আমরা নই। তাঁরা অনুষ্ঠান করুন। তাতে আপত্তি নেই। তাঁদের সেই স্বাধীনতা আছে। শিল্পীদের মধ্যে অনেককেই তৃণমূল বিরোধী রাজনীতি করেন। কিন্তু যাঁরা কুৎসিত ভাষায় নেত্রীর নামে অপপ্রচার চালালেন শুধুমাত্র প্রচারে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের এই মনোভাব সামনে আসার পর অনেক অনুষ্ঠানের শিল্পী তালিকায় কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে বলেই খবর।