সুপ্রিম রায়ে সংজ্ঞা বদল আরাবল্লির, আন্দোলনে নামলেন পরিবেশকর্মীরা

Must read

নয়াদিল্লি : আরাবল্লির (Aravalli) সংজ্ঞা বদলে গভীর সংশয়ে পরিবেশবিদরা। আশঙ্কা, শীর্ষ আদালতের রায়ে বিপন্ন হতে পারে আরাবল্লি পর্বতাঞ্চল। দূষণের বিভীষিকা থেকে বাঁচানো যাবে না রাজধানী দিল্লিকেও। মরুভূমি হয়ে যাবে দিল্লি-এনসিআর। সুপ্রিম রায়ের পরেই আন্দোলন শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। হরিয়ানার ভিউয়ানির তোষম পাহাড়ে রবিবার একদিনের প্রতীকী অনশনও করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের সুপারিশে গত ২০ নভেম্বর নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে আরাবল্লিকে। বলা হয়েছে, সমগ্র রেঞ্জের ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার ভূখণ্ডকেই আরাবল্লি (Aravalli) পর্বত হিসেবে গণ্য করা হবে। আরও স্পষ্টভাবে বললে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয়, ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১০০ মিটারের বেশি হলেই তাকে আরাবল্লি পাহাড়শ্রেণির অংশ বলা হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রস্তাবিত সংজ্ঞাতেই সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পরিবেশবিদদের আপত্তিটা এখানেই। কেন? পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা, এই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে এতদিন পর্যন্ত যে পাহাড়গুলোকে আরাবল্লি বলা হত, তার বেশিরভাগকেই আর পাহাড় বলা যাবে না। খুব সহজেই সেখানে চালানো যাবে খননের কাজ। শুধু তাই নয়, অবাধে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলে সর্বনাশ ডেকে আনা হবে পরিবেশের। লক্ষণীয়, আরাবল্লির বিস্তার ভারতের ৪টি রাজ্যে— দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং গুজরাতে। সবমিলিয়ে মোট ৩৯টি জেলাজুড়ে রয়েছে আরাবল্লি। পরিবেশ আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় যেন আরাবল্লির মৃত্যুদণ্ড। আরাবল্লি বাঁচাও আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘পিপল ফর আরাবল্লি’র প্রতিষ্ঠাতা নীলম আলুওয়ালিয়া খোলাখুলিই জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁরা হতাশ। ‘স্ট্যান্ড উইথ নেচার’ মঞ্চের দাবি, ৬৯২ কিমি দীর্ঘ আরাবল্লি পাহাড়শ্রেণিকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে কেন্দ্রকে। বন্ধ করতে হবে সব ধরনের খননকাজ। এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে সরকারকে। যদিও কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রীর সাফাই, নতুন সংজ্ঞায় আরাবল্লির ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকা সংরক্ষিত থাকবে। সবমিলিয়ে যে ২১৭ কিমি এলাকায় খননকাজের অনুমতি দেওয়া হবে মোট আরাবল্লির মাত্র ২ শতাংশ। আরাবল্লির অস্থিরতা নিয়ে মুখ খুলেছে রাজনৈতিক মহলও। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের মন্তব্য, দিল্লিকে বিশ্বের দূষণ-রাজধানীর অপবাদ থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র আরাবল্লি। তা নাহলে দিল্লি-এনসিআরের ওয়ার্ল্ড পলিউশন ক্যাপিটাল হওয়া কেউ রুখতে পারবে না।

আরও পড়ুন-ইউক্রেন যুদ্ধে মৃত্যু ২৬ ভারতীয়র, নিখোঁজ ৭, সংসদে স্বীকার প্রতিমন্ত্রীর

Latest article