প্রতিবেদন: সেবি-আদানির অশুভ আঁতাঁত বেআব্রু করে দিতে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা যখন যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে সরব, ঠিক তখনই আদানিদের কয়লা-কেলেঙ্কারি নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ জহর সরকার। প্রশ্ন তুলেছেন, সবকিছু জেনেও কী পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র? কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী (রাজস্ব) পঙ্কজ চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে জহর সরকার মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার মূল্যবাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে আদানির সংস্থা। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। উত্তরে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা কি আদৌ হয়েছে? আদানিদের দুর্নীতি ধরা পড়ার পরেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তদন্তকারী এজেন্সিগুলো? কয়লামন্ত্রীর কাছে জহরবাবুর দাবি, দুর্নীতি বন্ধ করতে বন্দরে মোতায়েন করা হোক কয়লা-বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন-পরিবারের সদস্যকেই হুমকি, কোটি টাকা দাবি যোগীরাজ্যের পুলিশের
তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, কয়লার মূল্যের অসঙ্গতি এবং সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে গত ৯ বছর ধরেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। সংবাদমাধ্যমে আদালতের কয়েকটি নির্দেশও নজরে এসেছে। প্রতিমন্ত্রীকে জহরবাবু বলেছেন, আপনার হয়তো অজানা নয় যে ২১টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা আদানি কয়লা আমদানি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে গত ২১ মে চিঠি দিয়েছিল প্রধান বিচারপতিকে। দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বেশ কিছু ক্ষতিকারক বিষয়ের প্রতিও। প্রতিমন্ত্রীর কাছে জহরবাবুর দাবি, অবিলম্বে আদানিদের কয়লা-কেলেঙ্কারির ঘটনার আইনসঙ্গত প্রতিকার হোক। জহরবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের মাথায় রয়েছেন সুনামের সঙ্গে কাজ করা যোগ্যতম অফিসাররা। একটার পর একটা মামলায় এই সুনাম নষ্ট হওয়া মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। সেই কারণেই আদানিদের কয়লা-কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার প্রবীণ সাংসদ।