প্রতিবেদন: বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির পর এবার খোদ জাতীয় রাজধানী দিল্লিতেও বাঙালি খেদাও অভিযান চালাচ্ছে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভাষা বললেই চলছে অত্যাচার। এরকমই অত্যাচারিত বাঙালি পরিবার কোনওমতে পালিয়ে এসে বিজেপির বাহিনী ও পুলিশি অত্যাচারের বর্ণনা দিতেই একাংশের মিডিয়া বাহিনীকে নামিয়ে বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে মাছবাজারে কোনও সমস্যা নেই। বাস্তবে নয়ডার মাছবাজারে কীভাবে মাছের বিক্রিতে লাগাম লাগিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার, এবার সেই ছবি তুলে ধরল বাংলার শাসকদল। মাছ বিক্রি তো দূরের কথা, সেখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলির শান্তিতে বসবাস অসম্ভব করে তুলেছে বিজেপির পরিকল্পিত ঘৃণার রাজনীতি। তবে কোনওভাবেই যে বাংলার বাইরে বাংলাভাষী মানুষদের হাত ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, তা নয়ডার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-অপারেশন সিঁদুরে ধ্বংস হয় ৬ পাক বিমান
দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজধানীর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কের সেরা মাছের বাজারে মাছ বিক্রি নিয়ে ফতোয়া জারি করেছিল গেরুয়া বাহিনী। এবার কোপ পড়ল রাজধানী লাগোয়া নয়ডার শাহদরা বাজারে। স্থানীয় বাঙালি মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্রেটার নয়ডার শাহদরা গ্রামের বাজারে মাছের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের বসতি এলাকায় শ্রমিকদের খোঁজ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম নয়ডার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে গেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিযায়ী শ্রমিকরা জানান তাঁদের চরম দুর্ভোগের কথা। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাংলায় কথা বলার জন্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে তাঁদের একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। ২০-২৫ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মাছের ব্যবসা। এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বর্ণনা করেন কীভাবে শুধুমাত্র বাংলা বলার জন্য কুকুরের মতো আচরণ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। ছাড় পাচ্ছেন না তফসিলি জাতির মানুষরাও। তৃণমূল সাংসদ সামিরুলের প্রশ্ন, রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির ভাষা বলার জন্য কেন এত রাগ বিজেপির নেতাদের?