প্রতিবেদন : দেশের সর্বত্র সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাজের গতিতে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাও। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাজে কোনও টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না। নিয়মিত করতে হবে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে টাস্ক ফোর্সের কাজ কতদূর এগিয়েছে, মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন-অনিয়ম থেকে নিয়মে
আরজি কর-কাণ্ডের পর দেশের সর্বত্র সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা, বিশেষজ্ঞ স্বনামধন্য চিকিৎসকদের সমন্বয়ে তৈরি এই টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করা হবে, জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷ ২১ অগাস্ট ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল৷ ২৭ অগাস্ট প্রথম বৈঠক হয়৷ প্রথম বৈঠকেই চারটি সাব গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল কাজের সুবিধার্থে। তারপরে শুধুই বৈঠক হয়েছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি, মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এই তথ্য উঠে আসার পরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়৷ এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘প্রো-অ্যাকটিভ’ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে টাস্ক ফোর্সের কাজ কতদূর এগিয়েছে।
আরও পড়ুন-চিন্নাস্বামীতে আজ শুরু টেস্ট, বৃষ্টিতে বাতিল প্র্যাকটিস
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল(এসজি) তুষার মেহতার থেকে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাজের অগ্রগতি জানতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ জবাবে এসজি মেহতা দাবি করেন, টাস্ক ফোর্স দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করছে৷ শেষ কবে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়েছে? প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি৷ উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ৯ সেপ্টেম্বর শেষবার বৈঠকে বসেছিল টাস্ক ফোর্স৷ কেন তার পরে কোনও বৈঠক হয়নি? প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি৷ উত্তরে তুষার মেহতা দাবি করেন, টাস্ক ফোর্স দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছে৷ তাই তাদের সময় লাগছে৷ এই যুক্তি গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত৷ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সাফ জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে কোনও বৈঠক আয়োজিত হয়নি৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রো অ্যাকটিভ পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে টাস্ক ফোর্স তা দেখতে হবে। টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করতে হবে নিয়মিত ভাবে, স্বল্প ব্যবধানে।