প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটে দল সার্বিকভাবে ভাল ফল করেছে। তার পরেও যেখানে যেখানে ফল খারাপ হয়েছে, তার কারণ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে চলেছে কাটাছেঁড়া। বারবার যে প্রশ্নটা উঠে আসছে, তা হল, এত পরিষেবার পরেও কেন মানুষ বিমুখ? তা নিয়েই পর্যালোচনা বৈঠকে বসলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসনে জয় পেলেও বেশ কিছু পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তাই হারের পর্যালোচনা বৈঠকে নামলেন খোদ ফিরহাদ। মঙ্গলবার বীরভূম লোকসভার সিউড়ি পুরসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে টাউন হলে পর্যালোচনা বৈঠকে করলেন পুরমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বিহারে জেডিইউ নেতারা চাইলেও রাজনীতিতে অনীহা নীতীশপুত্রের
জানা গিয়েছে, ফিরহাদ বলেছেন, মাত্র ৬২০০ ভোটে হার সিউড়ি পুরসভায়। সেখানে কিছু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব মেনে নেওয়া হবে না। একজনের সঙ্গে আরেকজনের ঝগড়া, কোনওভাবেই চলবে না। একসঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে পুরমন্ত্রী বলেন, সংগঠনের নীতি-নিয়ম মেনে চলতে হবে। না মানলে দলে থাকা যাবে না। তিনি এটা স্পষ্ট করে দেন, স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে কাউন্সিলরদের। বিকাশ যা বলবেন, তা শুনে সেই মতো এগোতে হবে, চলতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই সিউড়ি যেতে পারেন ফিরহাদ। ওখানে ৮৩ কোটি টাকার এক জলপ্রকল্প চালু করার কথা রয়েছে। তৃণমূলসূত্রে খবর, এর পরে রামপুরহাট, বোলপুর পুরসভা নিয়েও বৈঠক করবেন উনি।