অপরাজিতা সেন : আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই জিততে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হতে চলেছে বিজেপি এবং অন্যরা। তাদের জামানত জব্দের পরিস্থিতি আছে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভবানীপুর। কারণ এখানে তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কেন তৃণমূলনেত্রীকেই ভোট দেবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছে গোটা ভবানীপুর? এর একাধিক কারণ রয়েছে। কারণগুলিও নানাপ্রকার।
ভবানীপুর গর্বিত, কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র হতে চলেছে। ভবানীপুর উৎসাহিত, কারণ আগামীদিন ভারতের রাজনীতির নতুন সমীকরণের ভরকেন্দ্র হবে এই কেন্দ্র।সারাবছর এলাকায় উন্নয়ন, পরিষেবা এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নিবিড় জনসংযোগ। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণ, কারচুপি, চক্রান্তের জবাব।
আরও পড়ুন : আসরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী , গোয়ায় চমক তৃণমূলের
রাজ্যস্তরের কারণ বাঙলায় স্থিতিশীল উন্নয়নমুখী সরকার।রাজ্য সরকারের জনমুখী স্কিম ও অন্যান্য কাজের গতিবৃদ্ধি। দেশে ও বিশ্বে যেসব সম্মান পাচ্ছে বাংলার কাজ, তা অটুট রাখা। বাংলার বিরুদ্ধে বৈষম্য, অপমান, প্রতিহিংসার রাজনীতির জবাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসার প্রতিবাদ। সারা দেশের কাছে বাংলার আপসহীন লড়াইয়ের বার্তা স্পষ্ট রাখা।
তৃণমূলের সব ক্ষমতা ভোগ করার পর যারা গদ্দারি করে বিজেপিতে গিয়েছে, ভবানীপুরে প্রচারে আসা সেই ধান্দাবাজদের কড়া জবাব দেওয়া।
আরও পড়ুন : আইন ভেঙে উল্টে তৃণমূলকেই হেনস্তা
বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে রায় দিয়েছিলেন। এই পরাজয় হজম করতে না পেরে বিজেপি যে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করে চলেছে, তার মুখের ওপর জবাব দেওয়া। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি; দেশের সব সম্পদ বিক্রি-সহ কেন্দ্রের প্রতিটি জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদ। দিল্লির দরবারে বিজেপির প্রকৃত বিকল্পের নিউক্লিয়াস হিসেবে তৃণমূলকে ঘিরে যে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করা। বিকল্প মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ চাইছেন, সেই প্রক্রিয়ায় গতি সংযোগ করা।
বিজেপির দেউলিয়া রণনীতি আর কুৎসা, এজেন্সিভিত্তিক ষড়যন্ত্রকে মুখের উপর জবাব দেওয়া। মূলত এই কারণগুলিকে মাপকাঠি করেই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিতে চলেছে ভবানীপুর কেন্দ্র।