প্রতিবেদন : মোদিবাবু (shame on bjp), আর কতদিন নীরব থাকবেন? এবার তো মুখ খুলুন। আপনার দলের তথাকথিত ‘শিক্ষিত’ নেতা-নেত্রীরা তো প্রতিদিন বাংলার মনীষীদের অপমান করে চলেছেন। তারপরও আপনার মুখে রা নেই! এবার তো কিছু বলুন! আপনার দলের বাংলাবিরোধী চেহারা আজ মানুষের কাছে প্রকট হয়ে উঠেছে। আপনাদের রাজ্যে রাজ্যে বাংলার ও বাঙালির উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তারপরও আপনার কোনও চেতনা নেই। মোদিজি, আপনি নীরবই থেকে গেলেন।
সম্প্রতি মোদিজি বাংলায় এসে বাংলার মনীষীদের জয়গান করে গিয়েছেন। ভোটের আগে লোকদেখানো কত বন্দনা! কিন্তু তাঁর দলের নেতারা বাংলাকে পদে পদে অপমান করে গিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতাদের সেই কুকথা তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। আক্রান্ত হয়েছেন বাংলার মনীষীরা। এখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন, মোদিজি কেন নীরব?
সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে ‘বামপন্থী প্রোডাক্ট’ বলেছেন, অমিত শাহের (shame on bjp) মিছিলে ভাঙা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। তারপর বঙ্গ বিজেপি মা সারদার কটূক্তিমূলক ব্যঙ্গচিত্র ছড়িয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে বাংলার নেতাজি-থিমের ট্যাবলো বাতিল করেছে মোদি সরকার। দিলীপ ঘোষ মা দুর্গার বংশপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে ‘অশিক্ষিত’ বলে অপমান করেছেন। বিশ্বভারতীর ফলক থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। আবার বঙ্গ বিজেপি দাবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি শান্তিনিকেতনে জন্মেছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার কবিগুরুর গায়ের রং নিয়ে কুমন্তব্য করেছিলেন, আর সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি রাখা হয় সুকান্ত মজুমদারের পায়ের কাছে। তারপরও মোদিবাবু নীরব থেকেছেন আর এই বাংলাবিদ্বেষী নেতাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। এই বাংলাবিরোধী বিজেপিকে বাঙালি ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা কাল, তৈরি কমিশন