সন্তানে কেন না

জেনারেশন জি বিয়েতে আগ্রহী কিন্তু সন্তানে নয়! এটাই এখনকার ট্রেন্ড। কোনও রাখঢাক রাখছেন না এ-যুগের তরুণ-তরুণী থেকে চাকরিরতা। খোলাখুলি বলছেন সেই কথা। কিন্তু কেন মানসিকতার এই পরিবর্তন? কেন সামাজিক ভোলবদল? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ! নতুন প্রজন্ম কি সত্যি তাই মনে করে? জানলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

সাম্প্রতিকতম একটি সমীক্ষায় জানা গেছে বিয়ে করতে চাইছেন না জাপানের তরুণ এবং তরুণীরা। তার অন্যতম কারণ পরিবার পরিকল্পনার কোনও ইচ্ছেই তাঁদের নেই। ফলে এই নিয়ে নাকি দুশ্চিন্তা উত্তরোত্তর বাড়ছে জাপান সরকারের। সরকারি তরফে নানা সুযোগ-সুবিধা এবং ইনসেনটিভের ঘোষণা করা সত্ত্বেও বিয়ে এবং সন্তানধারণ দুটোতেই নারাজ তাঁরা ফলে জনসংখ্যা কমছে জাপানে। সন্তানধারণে কেন তাঁরা রাজি নন এর কারণ হিসেবে সেখানকার তরুণ প্রজন্মের অভিমত, স্বাধীনভাবে বাঁচতে চান তাঁরা। বিয়ের পর পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। পুরুষেরা তাঁদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। অন্যদিকে অবিবাহিত মেয়েরা কর্মজীবনের প্রতি বেশি আগ্রহী। বিয়ে করলে সন্তানের জন্ম দিলে কেরিয়ারে ক্ষতি হবে কারণ জাপানে মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কাজে যোগদানের ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়। শুধু জাপান নয়, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকী এখন ভারতের মতো দেশেরও একই চিত্র। বিয়ে না করা এবং সন্তান না নেওয়া একটা সময় মেয়েদের জন্য খুব চাপের ছিল কারণ পারিপার্শ্বিক। কিন্তু এখনকার জেনারেশন ঠিক তার উল্টো, এদেশের তরুণ-তরুণীরাও বিয়েতে হ্যাঁ বললেও সন্তানে না বলছেন কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতার বদল। আজকের যুগে প্রায় প্রতিটা মেয়েই পুরুষদের মতোই কেরিয়ারে ব্যস্ত ফলে তাঁদের বিয়ের বয়স পিছিয়ে গেছে অনেকটাই। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যখন তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তখন সন্তানের দায়-দায়িত্ব নেওয়ার মতো মানসিকতা তাঁদের আর থাকছে না। অনেক মহিলাই বলছেন ‘মাই বডি মাই চয়েজ’। মাতৃত্ব এখন তাঁদের কাছে একটা চয়েজ। বিয়ের পরে বাচ্চা কবে নেবেন? এই প্রশ্নের মুখোমুখিই হতে চান না বেশিরভাগ দম্পতি। এই সিদ্ধান্তকে যেমন তাঁরা ব্যক্তিগত রাখতে চান এবং তেমন এই সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশিও। বিশেষ করে মেয়েরা, কারণ সন্তান গর্ভে ধারণ থেকে জন্ম এবং তার পরবর্তী বেশিরভাগ দায়-দায়িত্ব একজন মায়ের ওপরেই বর্তায় আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের জীবন, স্বাধীনতা, কেরিয়ারের অনেকটাই স্যাক্রিফাইস করতে হয় মহিলাদের। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৭৩% ভারতীয় মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেন। এঁদের মধ্যে প্রায় ৫০% সন্তানকে দেখাশোনার জন্য চাকরি ছেড়ে দেন এবং যাঁরা ফিরে আসার চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে ৪৮% কর্মস্থানে পুনরায় যোগদানের চার মাসের মধ্যে বাদ পড়েন। এর কারণ কর্মক্ষেত্রে সেই মাকে নমনীয় সময়সীমায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কোনও আইন বা নিয়ম এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। শুধু মেটারনিটি লিভই যথেষ্ট নয়। ফলে সন্তানে মন দিতে গিয়ে চাকরিতে অবহেলা হয়ে যায়। তাই ইদানীং অনেক মহিলাই মনে করেন চাকরি একবার ছেড়ে দিলে আর সেই চাকরি ফিরে পাবেন না, নতুন করে কেরিয়ারে ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে এবং সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টাও একটা বড় ব্যাপার। এই নিয়ে কী বলছেন জেনারেশন এক্স, ওয়াই, জেডরা। এর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাই বা কী একবার দেখে নিই।

আরও পড়ুন-কাচের ঘরে বসেই ঢিল প্রধানমন্ত্রীর, কড়া ভাষায় তোপ তৃণমূলের

অর্ণা দে
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত
এখনকার দিনে কস্ট অফ লিভিং এতটাই বেড়ে গেছে যে অনেক দম্পতিই এই রিস্কটা নিতে পারছে না যে একটা শিশুকে পৃথিবীতে এনে যেভাবে তারা মানুষ করতে চায় সেই স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং-এ মানুষ করতে পারবে কি না সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত হল, এখনকার জেনারেশন একটু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জীবনযাপনের স্বাধীনতা চাইছে। মানে আমার যেটা মনে হয়, সারাজীবন কোনও না কোনও দায়িত্ব নিয়েই কাটিয়ে দেওয়া। প্রথমে নিজের পড়াশুনো শেষ করা সেটা একটা দায়িত্ব, তারপর যখন বিয়ে সেটাও একটা বড় দায়িত্ব, এরপর বাচ্চা নেওয়া সেটাও তো একটা বড় দায়িত্বই। এই যে পরের পর দায়িত্ব নিতে থাকা সেখানে অনেক সময়ই নিজের জন্য বাঁচাটা কোথাও না কোথাও খর্ব হতে থাকে। এত কিছুর দায়-দায়িত্ব নিতে-নিতে আমরা নিজেরাই অনেকসময় হারিয়ে যাই। ফলে অনেক কাপলই যে বিয়ের পর যে স্বাধীন জীবনযাপন করছে সেটাকেই এনজয় করতে চাইছে। আর আগে একটা কনসেপ্ট ছিল বুড়ো বয়সে কে দেখবে। কিন্তু সেই ধ্যান-ধারণাও এখন আর কোনও প্রমাণিত সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে নেই। সন্তান থাকলেই যে বাবা-মার দেখাশুনো করবে, দায়িত্ব নেবে এমনটা কিন্তু আর নেই। বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই কেরিয়ার গড়তে বিদেশে চলে যাচ্ছে। বাবা-মায়েরা একাই থাকছেন। দরকারে কেয়ার গিভার রাখছেন নিজেদের দেখাশুনোর জন্য। এখন সবাই সবার মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছে জীবন।
তিথি মেদ্দা
ছাত্রী (স্নাতকোত্তর)
আমার যেটা মনে হয়, এখন প্রতিটা মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের মুখটা দেখাতে আগ্রহী, তাঁরা ভাইরাল হতে চায় ফলে বিয়েটা এখন যতটা না ব্যক্তিগত বা পারিবারিক আনন্দ-অনুভূতির জায়গা তার চেয়েও বেশি ভাইরাল হওয়ার বিষয়। তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করছেন অনেকেই কিন্তু তারপরে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন কারণ সন্তান মানে পুরোদস্তুর দায়িত্ব। যেটা হয়তো তাঁরা সামলানোর জন্য প্রস্তুত নন তাই বিয়ে করলেও সন্তান নিতে চাইছেন না। বিয়ের পরেও কেরিয়ারটাই মুখ্য হয়ে উঠছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিয়ের একটা নির্দিষ্ট সময় বা বয়স রয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে বিয়ে করলে বিয়ের আনন্দ যেমন চুটিয়ে উপভোগ করা যায় আবার সন্তানও নেওয়া যায়। কারণ পড়াশুনোর, কেরিয়ার, বিয়ে, সন্তানের প্রত্যেকটা পর্বই জীবনের সুন্দর অভিজ্ঞতা। মাতৃত্ব কখনওই নিজের মতো করে বাঁচার বা আর্থিক স্বাধীনতার পরিপন্থী নয়। যদি ঠিকমতো পরিকল্পনা করে মা হওয়া যায় তবে সেটা কখনওই বোঝা হয়ে ওঠে না। সমস্যা হল এখন বেশিরভাগ খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করছে না হয় খুব দেরিতে— ফলে দুটো ক্ষেত্রেই সন্তানের জন্ম দেওয়া বা দায়-দায়িত্ব নেওয়া সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

বর্ষা দত্ত বণিক
ছাত্রী (স্নাতকোত্তর)
আমারই এক নিকট আত্মীয়া, যার বয়স খুব বেশি নয়, তাঁর বিয়ের পাঁচ-ছ’বছর অতিক্রান্ত, উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনও সন্তান নেবেন না। কারণ উনি মানসিকভাবে বাচ্চার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন। এটা সম্পূর্ণ একজন কাপলের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দু’জনেই যদি মনে করেন বাচ্চার দায়িত্ব নিতে তাঁরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তবে সেটা না নেওয়াই ভাল। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে যেটা মনে করি তা হল প্রত্যেকটা জিনিসের একটা সময় রয়েছে। কেরিয়ারের সময়টা কখনওই বিয়ে বা সন্তান প্ল্যানিং করে নষ্ট করা উচিত নয়। ওটা আমাদের সবার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ওই সময়টা আর ফিরে আসবে না। আবার বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার বয়সটা চলে গেলে সেটাও আর ফিরে আসবে না। তাই পড়াশুনো শেষ করে কেরিয়ারের একটা স্থায়িত্ব আসার পরে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে। আজকের যুগে জীবনযাত্রার মান এতটাই বেড়ে গেছে একটি সন্তানকে এনে তাঁকে মানুষ করার যে খরচখরচা সেটা নিয়েও ভাবছেন অনেকে। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাই মাতৃত্ব একটা চয়েজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের যুগ আর নেই। এখন আমরা আমাদের মতো করে ভাবতে পারি তাই কে কী ভাবছে সেটা সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত জায়গা।

অনুষ্কা ভট্টাচার্য
ছাত্রী (স্নাতকোত্তর)
এক্ষেত্রে আমার দুটো মত, আমি জেন জি হলেও মনে করি, সন্তান ঈশ্বরের সুন্দর সৃষ্টি তাই মাতৃত্ব কখনও একটা চয়েজ হতে পারে না। এটা একটা প্রয়োজনীয়তা। সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো সুন্দর জিনিস হয় না। তাই যদি সেটার প্রয়োজন আছে বলে কেউ মনে করে তবেই সেটা নেওয়া উচিত, নচেৎ নয়। আমার শরীর আমার চয়েজ হতেই পারে তবে আমাদের জীবন তো শুধু আমাকে নিয়ে নয়। বাবা মা, ভাই, বোন, পরিজন— সবাইকে নিয়ে আর সেখানেই আমরা পরিপূর্ণ। সেখানে আমার চয়েজ বা পছন্দটা শুধু নিজের কথা ভেবে হতে পারে না। সবটাই মিলিত সিদ্ধান্ত হওয়াই উচিত। যদিও আলাদা মানুষের আলাদা মানসিকতা। আমার মতে, বিয়ে, সন্তানধারণ সবটাই সময় অনুযায়ী, বয়স অনুযায়ী হলে তা সুন্দর হয়। দায়িত্ব কোনওটা নয়, জীবনে পথ চলতে গিয়ে প্রতিটা মুহূর্তের সবটাই দায়িত্ব তাই নিজের মতো করে বাঁচার সিদ্ধান্তে যে আমি দারুণ থাকব এমন দিব্যি কেউ দেয়নি আর বাচ্চার জন্ম দিলেই স্বাধীনতা খর্ব হবে এমনটাই বা কে প্রমাণ করেছে! সবটাই আপেক্ষিক। ঠিকমতো পরিকল্পনা নিতে পারলে যে কোনও দায়িত্বই সহজ হয়ে যায়।

সন্তান চাই না কেন
ডাঃ প্রথমা গুহ
মনোচিকিৎসক
মনস্তত্ত্বের বাইরে এর একটা বাস্তব দিকও রয়েছে কারণ এখন বেশিরভাগ ছোট নিউক্লীয় পরিবার, দু’জনেই ওয়ার্কিং। সেই পরিবারে বাচ্চা নিয়ে এলে কে দেখবে সেই বাচ্চা! সে হয়তো নিজেও ওই একইভাবে বড় হয়েছে। বাবা-মা হয়তো চাকরি করতে চলে যেতেন, বাড়িতে কেউ থাকত না, একা কেয়ার গিভারের কাছে থেকেছে ফলে সে বা তারা আর চাইছে না ওই একই পরিস্থিতি তাদের সন্তানের জীবনেও আসুক। এটা খুব বাস্তব সমস্যা কারণ প্রত্যেক পরিবারে যে দাদু, দিদা বা ঠাকুমা থাকবেন এমনটা নয়। আর মনস্তাত্ত্বিক দিক হল ছেলেমেয়ে জন্ম দেওয়া বা মানুষ করা একটা দায়িত্বের বিষয়। রোজকার ওয়র্ক লাইফ ব্যালান্স করে সেই দায়-দায়িত্ব পালন করার বিষয়টায় এই প্রজন্ম ভয় পেয়ে যাচ্ছে। তাঁরা হয়তো পোষ্য লালনপালন করছেন কিন্তু সেই দায়িত্ব তো আর এতটা নয়। তাঁরা মনে করছেন না যে বাচ্চার দায়িত্ব তাঁরা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারবেন। কারণ গবেষণায় এটা পুরোপুরি প্রমাণিত যে কেরিয়ারের প্রথমদিকে একটা মেয়ের রিপ্রেজেন্টেশন যতটা ভাল, যতটা সে কেরিয়ারে উন্নতি করতে শুরু করে পরের দিকে বিয়ে এবং বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরে সেই কেরিয়ার গ্রাফটা অনেকটাই নিম্নগামী। কর্পোরেট জগতে বা যে কোনও পেশায় কোনও মহিলাকে একদম উচ্চপদে দেখা যায় না। আমার নিজের দেখা এবং শোনা ক্লায়েন্টের থেকে জানা অভিজ্ঞতা রয়েছে যে মেয়েরা প্রোমোশন রিফিউজ করছে শুধু এই কারণে যে তাদের ট্রান্সফার হয়ে যাবে। ট্রান্সফার হলে সে তার পরিবার, বিশেষ করে সন্তানের দেখাশুনো, সবটা নিয়ে সমস্যায় পড়বে। মায়েদের ক্ষেত্রে এটা হতেই থাকে কারণ কোনও মা চান বা না চান সংসার, ওই সন্তানের বেশিরভাগ দায়িত্ব তাঁর ওপরেই বর্তায়। তাই তাঁরা চান আমরা আর বাঁধা পড়ব না। অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন থাকব এবং জীবনটাকে এনজয় করব। কাল কী হবে সেই ভাবনায় আজকের জীবনটা ভারাক্রান্ত করব না। ফলে এতটা দায়িত্ব নিতে তাঁরা চাইছেন না এবং সাহসও করছেন না। আর এখন সবাই এটা বুঝে গেছে ছেলেমেয়ে থাকলেই যে তারা বয়স্ক বাবা-মার বার্ধক্যের লাঠি হবে তা কিন্তু নয়। এটা একদিক থেকে ভাল, কারণ তা না হলে ছেলেমেয়ের ওপর সাংঘাতিক প্রত্যাশার ভার থাকত। সেইটা অন্তত আর নেই। এছাড়া আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় সরকারি বা বেসরকারি কোনও অফিসেই মায়েদের জন্য আলাদা করে কোনও ব্যবস্থাপনা নেই। কোনও অফিসে কোনও ক্রেশের ব্যবস্থা নেই, ওয়র্ক ফ্রম হোমের কোনও পরিষেবা নেই বা ফ্লেক্সিবল কাজের সময়সীমা নেই। ফলে মাতৃত্বের পরে একজন মেয়েকেই প্রচুর জটিলতা, সমস্যার মধ্যে, টানাপোড়েনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ফলে তারা মনে করছে সন্তান মানুষ করতে তারা যথেষ্ট নয়।

Latest article