অসমকে বাদ দিয়ে অন্যান্য রাজ্যে এসআইআর কেন? সুপ্রিম কোর্টে মামলা

সম্প্রতি ভারতের নির্বাচন কমিশন সেই রাজ্যে ‘স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন’-এর পরিবর্তে ‍‘স্পেশাল রিভিশন’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Must read

নয়াদিল্লি: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অসমের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের নির্বাচন কমিশন সেই রাজ্যে ‘স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন’-এর পরিবর্তে ‍‘স্পেশাল রিভিশন’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসিআই-এর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি মৃণালকুমার চৌধুরী।

আরও পড়ুন-ভারত থেকে পাচার হওয়া কালো টাকার কোনও ‘সরকারি হিসাব’ নেই!

পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপটি স্বেচ্ছাচারী, বৈষম্যমূলক এবং এটি বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, যখন অন্যান্য রাজ্যে ‘স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন’ চলছে, সেখানে অসমকে বিশেষ সুবিধাজনক প্রক্রিয়ার জন্য এককভাবে বেছে নেওয়ার অর্থ কী? ‘স্পেশাল রিভিশন’-এ ভোটারদের নাগরিকত্ব, বয়স বা বসবাসের প্রমাণপত্র জমা দিতে হয় না। এর বিপরীতে, ‘স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন’-এ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ন্যায্যতার প্রমাণ হিসেবে নথি দাখিল করা বাধ্যতামূলক। পিটিশনারের দাবি, অসমে অবৈধ অভিবাসনের ব্যাপক ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এই রাজ্যে ভোটার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আরও কঠোর প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। পিটিশনে এর সমর্থনে বিভিন্ন পূর্ববর্তী সরকারি মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অসমের তৎকালীন রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সিনহার ১৯৯৭ সালের রিপোর্ট এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তর বিবৃতি, যেখানে রাজ্যে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসীর উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল।

Latest article