এখনও অস্থায়ী উপাচার্যরা আসছেন কেন : শিক্ষামন্ত্রী

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যপালের নির্দেশে বেআইনিভাবে সিন্ডিকেট বৈঠক করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শান্তা দত্ত

Must read

প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যপালের নির্দেশে বেআইনিভাবে সিন্ডিকেট বৈঠক করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শান্তা দত্ত। সেই বৈঠক বেআইনি দাবি করে উপাচার্যকে আটকে প্রতিবাদে করেছিল পড়ুয়ারা। এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ওরা যে দাবি তুলেছে তা একেবারেই ঠিক। বেআইনি, ভুয়ো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢুকে পড়া ঘুসপেটিয়া, অনুপ্রবেশকারী যারা উপাচার্যের নাম করে ঢুকছে, এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে উপাচার্যেরই ক্ষমতা ভোগ করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত।

আরও পড়ুন-তৈরী বন্যা পরিস্থিতি, ‘আলোচনা ছাড়াই এই জল ছেড়েছে ডিভিসি’, দাবি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের তাঁদের ভূমিকা নিয়েও সতর্ক করলেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম সেমিস্টারের পড়ুয়াদের প্রথম সমাবর্তনে যোগ দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই শান্তাদেবী যেভাবে উপাচার্যের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছেন সেই বিষয়ে তীব্র নিন্দা করেন ব্রাত্য। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তারপরেও অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে উপাচার্যেরই ক্ষমতা ভোগ করছেন তিনি। যদিও উপাচার্যের দাবি, তিনি শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছেন। তবে সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই উপাচার্য সরকারের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে তো ওঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত না। এখনও সরকারি গাড়ি, নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার করছেন।

আরও পড়ুন-‘বাংলার মানুষকে পরিকল্পিতভাবে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি’, লিলুয়ায় রক্তদান মেলায় কুণাল ঘোষের নিশানায় গেরুয়া শিবির

সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই কার্যকলাপের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানান ব্রাত্য। বলেন, আশা রাখব মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে যেভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন সরকারিভাবে, মহামান্য আদালত এর ব্যবস্থা নেবেন।
উপাচার্য একের পর এক বেআইনি সিন্ডিকেট মিটিং করছেন। উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বৈঠক করছেন তিনি তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যে অবসর নিলেও কী ভাবে তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পাশ করাচ্ছেন, সেই নিয়েও পড়ুয়াদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়। ]

Latest article