বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া। গুরুগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিকিতার ভাই এবং মা অনুরাগ ও নিশা সিংহানিয়াও এদিন গ্রেফতার হয়েছেন। বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড ডিভিশনের ডিসিপি শিবকুমার এই মর্মে জানিয়েছেন অভিযুক্তদের প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে ভোট, আশঙ্কা গোলমাল পাকাবে গদ্দার
অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে চায় আগেই বেঙ্গালুরু পুলিশ। তবে নিকিতার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায় নি। তদন্তকারীরা বাড়ির সামনে একটি নোটিশ লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। দুই আলাদা শহর থেকে তিনজনকে অবশেষে গ্রেফতার করা হল। প্রসঙ্গত, মৃত ইঞ্জিনিয়ার অতুলের ভাই বিকাশের করা এফআইআর এর ওপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে, মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে নিকিতা তাঁর স্বামীর থেকে ৩ কোটি টাকা চেয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, নিজের ছেলে দেখার জন্যে অতুলের থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন নিকিতা। নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন-হারা ম্যাচে জয়, ত্রাতা আলবার্তো
অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নিকিতার অভিযোগ ছিল পণ চেয়ে তাঁকে হেনস্থা করতেন অতুল। অতুলের ভাই, বাবা-মায়ের নামেও তিনি অভিযোগ করেন। আইপিসির বেশ কয়েকটি ধারায় অতুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। নিকিতা জানান অতুল মদ্যপান করে তাঁর সঙ্গে ‘জানোয়ারের মতো আচরণ’ করত এবং ১০ লাখ টাকা পণ চেয়ে মারধর করত। স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো বেতন নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতেন। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। নিজের ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে স্ত্রীর সব অভিযোগের জবাব দিয়ে গিয়েছেন অতুল।