প্রতিবেদন: চলতি সপ্তাহেই কি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্যে তারই ইঙ্গিত। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তবেই মস্কোর উপর থেকে আর্থিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে ওয়াশিংটন। নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ট্রাম্প লেখেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে তারপর দু’দেশই (রাশিয়া ও ইউক্রেন) আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে করে সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতাদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা, অ্যাটর্নি জেনারেলকে চিঠি
মার্কিন সরকারের বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো গত সপ্তাহে ইউরোপ সফরে যান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় ঢিলেমি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। রুবিও বলেন, যুদ্ধবিরতি হবে কি হবে না, তা নিয়ে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কয়েকদিন বা সপ্তাহখানেক দেখব, যদি শান্তিচুক্তিতে কোনও অগ্রগতি না হয়, তবে আর আমরা এরপর আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকব না। মার্কিন বিদেশসচিব আরও মন্তব্য করেন, আমরা চাই যুদ্ধটা শেষ হোক। যদিও এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হলে ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ড’ হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্রিমিয়ার রুশ দখলদারিকে মেনে নেওয়া হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে ক্রিমিয়ার উপর রাশিয়ার দাবির বিষয়টির সমাধান হতে পারে।
এদিকে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার উপলক্ষে দেড় দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার জানিয়েছে, সেই সময়সীমার মধ্যেও রুশ ফৌজ ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই আবহে ট্রাম্পের নতুন মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ করতে পারলে বিশ্ব কূটনীতিতে আরও অপ্রতিরোধ্য হবেন ট্রাম্প।