জয়ের আগেই জয়

কলকাতা পুরসভা ও অতীন ঘোষ যেন সমার্থক। ১৯৮৫ তে শুরু, ২০২১ সালেও ক্লান্তিহীন তিনি বলছেন মানুষের কাজ করতেই ১৯৮৫ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি।

Must read

মণীশ কীর্তনীয়া : কলকাতা পুরসভা ও অতীন ঘোষ যেন সমার্থক। ১৯৮৫ তে শুরু, ২০২১ সালেও ক্লান্তিহীন তিনি বলছেন মানুষের কাজ করতেই ১৯৮৫ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি। কলকাতার পুর রাজনীতির পোড়খাওয়া মানুষ। দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা। এখন বিধায়ক। তিনি অতীন ঘোষ। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।

আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে বিজেপির হাতছাড়া এক পঞ্চায়েত

প্রবল বাম জমানাতেও নিজের এলাকায় দাপিয়ে রাজনীতি করেছেন। কাজ করেছেন। মানুষের পাশে থেকেছেন। বাম পুরবোর্ড থেকে কীভাবে নিজের ওয়ার্ডের জন্য উন্নয়নের টাকা বের করে আনতেন তা বলতে গিয়ে এখনও মুখে জয়ের হাসি লেগে থাকে। বললেন, তখন কাউন্সিলররা এলাকার উন্নয়নের জন্য পেতেন মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা। এই টাকায় কীভাবে কতটুকুই বা কাজ করা যাবে। তার ওপর বাম পুরবোর্ড। টাকা বের করা খুব মুশকিল।

আরও পড়ুন-কৃষকদের পাশে রাজ্য দুর্যোগে ভরসা শস্যবিমা

তার মধ্যেও কলকাতা পুরসভার নির্দিষ্ট দফতরের অফিসারদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে কায়দা করে বরাদ্দ অর্থ বের করে আনতেন। যা দেখে চমকে যেতেন তৎকালীন বাম কাউন্সিলররাও। বরাবর দলের অনুগত। উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে স্তম্ভই বলা যায়। তিনি বিতর্কে থাকেন না। সম্প্রতি বিধায়ক হওয়ায় কাজের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রচার তো আছেই, বিধায়ক হিসেবে অন্যান্য ওয়ার্ডের দলীয় সতীর্থদের জন্যও প্রচারে যাচ্ছেন।

সকাল-দুপুর-বিকেল দম ফেলার ফুরসত নেই। দীর্ঘ কয়েক দশকের পুর রাজনীতিতে কলকাতার অনেক মেয়র দেখেছেন। কিন্তু সবার আগে রাখবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর কাজ তো বটেই, ব্যক্তি হিসেবে ও প্রশাসক হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ ছিলেন, সগর্বে বললেন সে-কথা।

Latest article