মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় হোম-স্টের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে হোটেল-লজও। ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে ঝাড়গ্রামে পর্যটকের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। দোলযাত্রা পর্যন্ত সমস্ত হোটেল-লজ বুকিং হয়ে যায় অনেক আগেই। এখনও পর্যন্ত জেলায় রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় প্রায় ৯৫টা হোম-স্টে হয়েছে। আরও ১৭৭টার তালিকা জমা পড়েছে।”
আরও পড়ুন-মানুষের ঢল সোনাঝুরিতে আয়োজিত বসন্তোৎসবে
হোম-স্টে করার জন্য উপভোক্তাকে মোটা টাকা সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। জেলার নয়াগ্রাম থেকে বাঁশপাহাড়ি পর্যন্ত হয়েছে বহু হোম-স্টে। তবে বেশিরভাগই বেলপাহাড়ি থানা এলাকায়। এক সময় ঝাড়গ্রাম শহরে পর্যটকদের থাকার জন্য মাত্র ১৭টি হোটেল-লজ ছিল। ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামকে পৃথক জেলা ঘোষণার পর থেকে সেই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। এখন শহরে হোটেল-লজের সংখ্যা প্রায় ১৫০। বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা শাল-মহুয়ার শহর ঝাড়গ্রামে হোটেল করার জন্য জায়গা নিয়েছে। শহরে গত দু’বছরের মধ্যে ৪টি শপিং মল হয়েছে। জেলা হওয়ার পর থেকে ঝাড়গ্রাম শহরে জমির দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। শহরে জমি নিয়ে চলছে ফাটকা ব্যবসা। জমির দালাল-ফড়েদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য হজ কমিটির প্রাকপ্রস্তুতি বৈঠক
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঝাড়গ্রামের পর্যটনে জোর দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির সামনে পর্যটকদের জন্য অনেক কটেজ তৈরি হয়েছে। জেলার রাস্তাগুলো সংস্কার করে মসৃণ ও চওড়া করা হয়েছে। শহরের রাস্তায় লেগেছে ত্রিফলা আলো। বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্রে শৌচালয় তৈরি হয়েছে। উন্নতি ঘটছে বন বিভাগের আর্থিক সহায়তায়। রামেশ্বর মন্দির, চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণ ঢেলে সাজানো হয়েছে। জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের উন্নয়ন হয়েছে। বাইরে থেকে মানুষজন তাই ২-৩ দিনের জন্য ঘোরার মন নিয়ে ঝাড়গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন। দোল উৎসবকে সামনে রেখে ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বলেও জানান মধুসূদনবাবু।