প্রতিবেদন : কারও নাম করেননি তিনি। দ্বিধাহীন ভাষায় এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের উপরে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কিন্তু সরকারের কাজে আদালতের হস্তক্ষেপের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভা ভবনে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে মালা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, আদালত এখন সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে, এটা ঠিক নয়। আদালতের কিছু নিজস্ব ক্ষমতা অবশ্যই আছে। সেটা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু আদালত যদি সব ব্যাপারেই নিজেকে সর্বোচ্চ ভাবে, সেটা গণতন্তের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
আরও পড়ুন-পয়লা বৈশাখের তীব্র গরমে কালীঘাট–দক্ষিণেশ্বর–তারাপীঠে মানুষের ঢল
অধ্যক্ষ বলেন, এখন সংবাদপত্র খুললেই দেখা যায় কোনও না কোনও বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করছে। গণতন্ত্রের প্রতিটি স্তম্ভকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। বিচারব্যবস্থা বিচারের কাজ করবে, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে। এটাই সুষ্ঠু গণতন্ত্রের লক্ষণ। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, আদালত সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। নাম না করলেও ইঙ্গিত স্পষ্টতই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে। বুঝিয়ে দিলেন, এক্তিয়ার ছাড়াচ্ছেন বিচারপতি। অধ্যক্ষের মন্তব্য, আজ আদালত বলছে অমুককে ডেকে পাঠানো উচিত, কাল বলতেই পারে বিধানসভার অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠানো উচিত। বলতেই পারে। তবে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়।
আরও পড়ুন-নববর্ষে দুর্গাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন, সকালে পুড়ে ছাই নথিপত্র
নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই ঘটনায় দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিধানসভার অধ্যক্ষের।
তাঁর পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতার অনুশীলন করতেই পারে তারা। কিন্তু মানুষের কাছে ভুল বার্তা না যায়। মানুষের যাতে মনে না হয়, একটা পক্ষ নিয়ে চলছে আদালত।