ইন্দোরের (Indore) রাজা রঘুবংশী খুন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে আর এর মধ্যে ফের আরেকটি ভয়ানক ঘটনা প্রকাশ্যে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলায় বিয়ের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বামীকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কোপ মেরে খুন করলেন এক মহিলা। রাধিকা ও অনিল লোখান্ডের বিয়ে হয়েছিল এই বছরের ১৭ মে। মঙ্গলবার রাতে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রাগ চেপে রাখতে না পেরে প্রতিহিংসার বশেই স্বামীর ওপর চড়াও হন মহিলা। মাঝরাতে ঘুমন্ত স্বামীর মাথায় দা দিয়ে মেরে খুন করে ফেলেন তিনি। অনিলের প্রথম স্ত্রীর ক্যান্সারের ফলে মৃত্যু হয়। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। যদিও তাঁরা বিবাহিত এবং প্রবাসী। একাকীত্ব এবং অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে, তাঁর আত্মীয় তাঁকে সাতারা জেলার ওয়াদি গ্রামের বাসিন্দা রাধিকা বালকৃষ্ণ ইঙ্গলের সাথে পুনরায় বিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় আইসক্রিম ফ্রিজারে নিখোঁজ তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার
স্বামীকে খুন করার কিছুক্ষণ পরই রাধিকা ফোন করে নিজের খুড়তুতো ভাইকে গোটা ঘটনার কথা জানান। এরপরেই বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির (বিএনএস) ১০৩(১) ধারায় (খুন) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) সামনে যখন তার বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণ পেশ করা হয়েছিল, তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।যদিও এখনও হত্যার সঠিক উদ্দেশ্য এখনও অজানা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেকদিন ধরেই অশান্তি চলছে। হতে পারে সেটাই এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে মূল কারণ। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, বিয়ের ১২ দিনের মাথায় স্ত্রী সোনম রঘুবংশী তাঁর স্বামীকে শিলংয়ের জঙ্গলে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে খুন করান। কিন্তু পর পর একাধিক ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। প্রশ্ন থাকছে একটাই, কোথায় সমস্যা হচ্ছে যার ফল এত মর্মান্তিক?